পশ্চিমবঙ্গের নদীতে ইলিশের জোগান কম হওয়ায় ফি বর্ষায় বাঙালির ইলিশ নিয়ে হা-পিত্যেস এখন পুরনো ব্যাপার। প্রতিবেশী বাংলাদে থেকে রফতানি হওয়ার মাছের দিকে তাকিয়ে থাকে আমবাঙালি। যাতে বাজারে গিয়ে অন্তত মাছে হাত ছোঁয়ানো যায়। এবার সেখানেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। ভারতে ইলিশ রফতানির বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, দেশের মানুষ যেখানে মাছ কিনে খেতে পারছে না, সেখানে রফতানি করে ইলিশ পাঠানো যুক্তিযুক্ত নয়।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ এবং তিনটি সংস্থার কাছে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধের আবেদন করে নোটিস পাঠিয়েছেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহম্মদ মাহমুদুল হাসান। তিনি বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ সচিব, বিদেশ সচিব, অসামরিক বিমান পরিবহণ এবং পর্যটন সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরকে নোটিস পাঠিয়েছেন।
মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। কিন্তু অতিরিক্ত দামের কারণে দরিদ্র মানুষ তা কেনার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। এমনকী মধ্যবিত্ত শ্রেণিও কিনতে পারে না। জনগণের চাহিদা সত্ত্বেও বাণিজ্যসচিব ৪ সেপ্টেম্বর ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছেন। ভারতে ইলিশ রফতানির কারণে দেশের বাজারে ইলিশের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে দেশের বাজারে ইলিশের যে দাম, তার চেয়ে ভারতে রফতানিমূল্য কম। তাই স্থায়ীভাবে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, যদি ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তবে তিনি সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে মামলা করবেন। ভারতে ইলিশ রফতানির উপর আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বাংলাদেশ। তবে গত দু’বছরের মতো দুর্গাপুজোর আগে এ বছরও উপহার হিসাবে ইলিশ পাঠানোর কথা ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তার পর বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক ভারতে ২০৮০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দেয়। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সেই ইলিশ ভারতে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছিল।
তবে আপাতত এই নোটিশের ফলে তা বিশ বাঁও জলে।