গত কয়েক মাসে ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরপাকড় বেড়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বললেন, বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরাতে কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে আইনি পথে হাঁটবে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার এমনটাই বলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মঃ. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সাতক্ষীরায় তৃতীয় ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট উদ্বোধনের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসস ও দ্য ঢাকা ট্রিবিউন এই খবর জানিয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, 'বাংলাদেশ কখনো ভারতীয়দের মতো পুশ-ইন প্রক্রিয়ায় যুক্ত নয়। আমরা সব সমস্যা কূটনৈতিকভাবে সমাধান করতে চাই।'
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ সবসময় আন্তর্জাতিক আইন ও প্রোটোকল মেনে চলে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে ভারতের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।'
তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খালিলুর রহমান ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ রাখছেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, 'আমরা ভারতের পক্ষকে জানিয়েছি, যদি কোনো বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে থাকে, তবে তাকে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হোক। একইভাবে যদি কোনো ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অনুমতি ছাড়া বসবাস করে, তবে তাকেও আইনি প্রক্রিয়া মেনে ফেরত পাঠানো হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা ভারতকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন পুশ-ইন প্রক্রিয়া না চালিয়ে আনুষ্ঠানিক ফেরত পাঠানোর পথ অনুসরণ করে।'
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেন, গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে কিছু ব্যক্তিকে জোর করে বাংলাদেশে ঢোকানোর চেষ্টা হয়েছিল। তবে সেই চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
তিনি বলেন, 'যদি স্থানীয় জনগণ ঐক্যবদ্ধ ও সজাগ থাকে, তবে এমন পুশ-ইন ঠেকানো সম্ভব।'
বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কাজ করছে বলে দাবি করেন উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, এই ধরনের ইস্যুতে ভবিষ্যতেও আইন ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।