শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আগামী ১০ জুলাই চার্জ গঠন করা হবে। সোমবার এই নির্দেশ দিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। হাসিনা ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের প্রাক্তন মহাপরিদর্শক চৌধুরি আবদুল্লা আল-মামুন। গত বছরের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছিলেন ওই তিনজন।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদন অনুসারে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাসিনা, কামাল এবং আল-মামুনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের জন্য ১০ জুলাই দিন ধার্য করেছে। ওই দিন, তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আইনজীবীদের দায়ের করা আবেদনের শুনানি করবে। ১ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছিল হাসিনা-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বুধবার হাসিনাকে আদালত অবমাননার মামলায় তাঁর অনুপস্থিতির জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। গত বছরের অগাস্টে পদত্যাগ করার পর এই প্রথমবারের মতো ৭৭ বছর বয়সী আওয়ামি লিগ নেত্রীকে কোনও মামলায় সাজা দেওয়া হল।
রাষ্ট্রসংঘ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, হাসিনা সরকার বিক্ষোভকারীদের উপর দমন-পীড়নের নির্দেশ দেওয়ার কারণে গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ১৫ অগাস্টের মধ্যে ১,৪০০ জন নিহত হয়েছিলেন। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামি লিদের অনেক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। হিন্দুদের উপর নির্যাতন শুরু হয়। অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন।
এদিকে, বাংলাদেশের আর এক সংবাদমাধ্যম রবিবার জানিয়েছে, জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে ছয়টি মামলায় হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং প্রশাসনের কয়েকজন প্রাক্তন কর্মকর্তাকে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মির আহমেদ আলি সালাম জানান, আদালত আগে একটি গেজেট নোটিশ প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল, যা এখন জারি করা হয়েছে। তাঁর কথায়, 'আদালত এই ছয়টি মামলার শুনানির জন্য ২০ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করেছেন। যদি অভিযুক্তরা ততক্ষণে আদালতে হাজির না হন, তাহলে তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে।'