ATM Azharul Islam Acquitted: নয়া বাংলাদেশ? কুখ্যাত 'রাজাকার' জামাতের আজহারুল বেকসুর খালাস, গণহত্যা-ধর্ষণের একাধিক অভিযোগ ছিল

আজহারুল ইসলাম ছিলেন জামাত ই ইসলামির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। অভিযোগ ছিল, তিনি রংপুর অঞ্চলে আলবদর বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হয়ে গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

Advertisement
নয়া বাংলাদেশ? কুখ্যাত 'রাজাকার' জামাতের আজহারুল বেকসুর খালাসATM Azharul Islam in court during war crimes trial in Bangladesh
হাইলাইটস
  • রায় ঘিরে চাঞ্চল্য, হতবাক যুদ্ধাপরাধের শিকার পরিবারগুলি
  • কে এই আজহারুল ইসলাম?
  • বাংলাদেশে জামাত নিষিদ্ধ, কিন্তু আদলতের রায় কি নতুন খেলা দেখাল?

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামাত-ই-ইসলামির শীর্ষ নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম অবশেষে আদালত থেকে পুরোপুরি খালাস পেয়ে গেলেন। যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণ, গণহত্যা ও পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করার মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগ ছিল, তাঁকেই আজ প্রায় ১১ বছর কারাবন্দি থাকার পর মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত।

রায় ঘিরে চাঞ্চল্য, হতবাক যুদ্ধাপরাধের শিকার পরিবারগুলি

এ রায় শোনার পর থেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাপরাধ বিরোধী মহলে। প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের সরকার ও বিচারব্যবস্থা কী তবে জামাতের সঙ্গে আপোস করছে? সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্ট নাগরিকদের একাংশ মনে করছেন, জামাতের মতো একটি কুখ্যাত ইসলামি রাজনৈতিক দলকে খুশি করতেই এমন রায় এসেছে।

কে এই আজহারুল ইসলাম?

আজহারুল ইসলাম ছিলেন জামাত ই ইসলামির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। অভিযোগ ছিল, তিনি রংপুর অঞ্চলে আলবদর বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হয়ে গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। কিন্তু পরে রিভিউ আবেদনের ভিত্তিতে ফের শুনানি হয় এবং ২০২৫ সালের ২৭ মে সর্বসম্মত রায়ে তাঁকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে জামাত নিষিদ্ধ, কিন্তু আদলতের রায় কি নতুন খেলা দেখাল?

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জামায়াতের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠে। ২০১০ সালে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বহু জামায়াত নেতা ফাঁসির সাজা পান।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, যুদ্ধাপরাধের বিচার ধীরে ধীরে রাজনৈতিক লেনদেনের শিকার হতে শুরু করে। এ টি এম আজহারুলের খালাস সেই আশঙ্কাকেই যেন বাস্তব করে তুলল।

Advertisement

ভারতের পক্ষেও এক সতর্কবার্তা

বাংলাদেশের এই ঘটনা ভারতের জন্যও বিশেষ গুরুত্ব রাখে। জামাতের সঙ্গে পাকিস্তানপন্থী শক্তির যোগ, সীমান্তবর্তী এলাকায় মৌলবাদী গোষ্ঠীর তৎপরতা, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ — সব মিলিয়ে ভারতকেও সতর্ক থাকতে হবে। যে দেশে যুদ্ধাপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এক ব্যক্তি এত সহজে খালাস পেয়ে যায়, সেখানে আইন-শৃঙ্খলা, মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, এবং গণতন্ত্র কতটা মজবুত, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকেই যায়।

POST A COMMENT
Advertisement