ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ বর্তমানে ভয়াবহ হিংসার কবলে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করতে হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা শেখ মুজিবের মূর্তি ভেঙে দেয়। দেশের এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা করেছেন।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে প্রবেশ করে। বেলা ৩টের দিকে গণভবনের দরজা খুলে দিলে বিক্ষোভকারীরা কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে এবং আনন্দ উদযাপন শুরু করে। শেখ হাসিনা ও তার বোন আগেই সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশের দৃশ্যটি ভাইরাল হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ নির্বিঘ্নে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তোলপাড় করছিল, সেখানে কোনও নিরাপত্তাকর্মী বা পুলিশ দেখা যায়নি। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে চেয়ার, সোফা ও টিভির মতো জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে আসে আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন সম্পর্কে কিছু তথ্য:
গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। এটি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন এবং কার্যালয়। ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক তাৎপর্যবাহী এই ভবনটি প্রায়শই সরকারী বৈঠক এবং উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের কেন্দ্রবিন্দু। চমৎকার ভবন এবং বাগানের জন্য এটি একটি আইকনিক স্থান। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতে ভবনটি বিক্ষোভকারীদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যারা উদযাপন করতে এবং তছনছ করতে এর প্রাঙ্গনে প্রবেশ করেছিল।
গণভবনের নিরাপত্তা সাধারণত কঠোর হলেও সাম্প্রতিক হিংসার সময় তা কম ছিল। বিশাল গম্বুজ, প্রশস্ত হল এবং সুন্দর বাগান সমন্বিত এই ভবনটি বাংলা ও ইসলামিক স্থাপত্যের সংমিশ্রণ। গণভবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গণভবনে অনেক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা হয়েছে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ।