গোটা বাংলায় মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। যদিও বাংলাদেশে ১৪ এপ্রিল পালিত হয় এই দিনটি। বাংলাদেশ ও কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। দুই বাংলাতেই তিনি তাঁর অভিনয়ের জন্যে চর্চিত। এপার বাংলার মতো ওপার বাংলাতেও নববর্ষের দিনটি দারুণ সুন্দরভাবে পালন করা হয়। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও জয়া আহসান নিজের মতো করে, পরিবারের সঙ্গেই কাটালেন নববর্ষের দিনটি। যদিও এ বছর রমজান মাস হওয়ায় উদযাপনটা একটু অন্যরকমের হয়েছে।
জয়ার নববর্ষ উদযাপন
কীভাবে পালন করলেন নববর্ষ? জয়া আহসান এ প্রসঙ্গে বলেন, এবার একটু ব্যতিক্রমী হল নববর্ষটা। কারণ রমজানের ভেতর পড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে অসম্ভব গরম থাকার কারণে লোকজন, সাধারণত রমজানের সময় দিনের বেলাটা উদযাপন করা হয় না। বেশিরভাগটাই পালন হয়েছে সন্ধ্যের পর। নববর্ষটাও সেই সময়ই পালন করা হবে। যেহেতু রমজান চলছে আর জয়া রোজা রেখেছেন। তিনি জানান যে নববর্ষের দিন তাঁর রোজা ছিল। তবে ইফতার হয়েছে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ও সবরকমের ভর্তা দিয়ে। এছাড়াও নাড়ু তৈরি করে রাখা ছিল সেটাও পরিবারের সকলে মিলে খেয়েছেন।
আরও পড়ুন: Poila Baisakh History: বাংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখ কবে থেকে, কে চালু করেন ?
মঙ্গল শোভাযাত্রা দেখেছেন টিভিতে
প্রসঙ্গত, নববর্ষের দিন বাংলাদেশে পান্তা ভাত খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তার সঙ্গে থাকে একাধিক লোভনীয় ভর্তা, ইলিশ মাছ সহ বহু খাদ্য। জয়ার কথায়, তিনি এদিন ভোরের দিকে একটু বেরিয়েছিলেন। কিন্তু এই সময় বাংলাদেশে অসম্ভব গরম রয়েছে। তাই বেলা পড়ার আগেই তিনি বাড়িতে চলে আসেন। নববর্ষের দিন বাংলাদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়, যেখানে অংশ নেন জয়া আহসান। কিন্তু এই বছর সেখানে প্রচুর মানুষের ভিড় থাকার কারণে তিনি বাড়িতেই টিভিতে বসে এই শোভাযাত্রা উপভোগ করেছেন। নববর্ষের দিন তাঁর দেশ রঙীন হয়ে ওঠে এবং এদিন অভিনেত্রী গোলাপি রঙের দারুণ সুন্দর চুড়িদার পরেছিলেন। তবে অভিনেত্রীর কথায় এ বছর কিছুটা হলেও গরমের কারণে মানুষকে হেনস্থা হতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: Chanchal Choudhary Emotional Post: বাড়ির সদস্যকে অন্যের হাতে দিলেন চঞ্চল, চৌধুরী পরিবারের চোখে জল
গেরিলা ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন
তবে জয়া আহসানের কাছে নববর্ষের দিনটি অন্য একটি কারণের জন্যও স্মরণীয়। এই অভিনেত্রীর কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি ‘গেরিলা’। নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত এই সিনেমাটি ২০১১ সালের পয়লা বৈশাখেই মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন জয়া। তাই প্রতি বছর এদিনটি তাঁর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি ‘গেরিলা’ মুক্তির এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন জয়া। জয়া তাঁর ফেসবুকে এই সিনেমার বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে বলেন, ‘কিছু ছবি থাকে, অভিনয় জীবন জুড়ে যার বিস্তর প্রভাব, যা ভালোলাগার, মাঝে মাঝেই স্মৃতিতে উজ্জ্বল। কিন্তু কিছু ছবি অচিরেই জীবন হয়ে যায়। কিছু চরিত্রের হয়ে একটা অন্য জীবন বেছে নেওয়া যায়। এক যুগ আগে, এই দিনে মুক্তি পাওয়া, মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত গেরিলা ছবিটি তেমনি একটি ছবি।’
জয়ার খুব কাছের সিনেমা এটি
এ সিনেমার অনেক স্মৃতি জয়ার হৃদয়ে আজও অমলিন। আজ ১২ বছর পরেও এই চলচ্চিত্র তাঁর কাছে একটি বড় আপন অনুভূতি। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জয়া আহসান লেখেন, ‘আমার অভিনয় করা বিলকিস বানু চরিত্রে উঠে এসেছিল মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য মেয়ের সাহসী অবদানের গল্প। উপন্যাসে এ চরিত্র তৈরি করেছিলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক আর পর্দায়- পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ। তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’