বাংলাদেশী অভিনেত্রী জয়া আহসানের জনপ্রিয়তা এই বাংলাতেও কম কিছু নয়। তাঁর অভিনয় দর্শকদের বরাবরই মুগ্ধ করেছে। বয়স যতই হোক না কেন তাঁকে দেখে সেটা বোঝার উপায় একেবারেই নেই। নিজেকে কোন মন্ত্রবলে এত ফিট করে রেখেছেন জয়া তা আজও সিক্রেট। জয় আহসানের সঙ্গে তাঁর স্বামীর ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে অনেক বছর আগেই। নিজেকে সিঙ্গল বলেই দাবি করেন অভিনেত্রী। এরই মাঝে জয়া আহসান নিজের ভালোবাসার কথা সকলের সামনে নিয়ে এলেন।
নিজেকে সিঙ্গল বলেই দাবি করেন অভিনেত্রী। ফয়জাল আহসানের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ বহু আগেই হয়ে গিয়েছে। তারপর আর বিয়ে করেননি জয়া। আর সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী প্রকাশ্যেই বললেন আই লাভ ইউ। কিন্তু কাকে? জয়ার পোষ্যপ্রেমের কথা কারোরই অজানা নয়। তাঁর বাড়িতে তিনটে সারমেয় রয়েছে। তবে এবার যে ভিডিওটি জয়া পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা গিয়েছে তাঁর কোলে একটা বিড়াল আর ঘাড়ে একটা বিড়াল উঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কখনও আবার পিঠ থেকে নেমে যাচ্ছে বিড়াল। তিনি বিড়ালের আদর খাচ্ছেন প্রাণভরে। আর ক্যাপশনে জয়া লিখেছেন, 'আমি মিউদের খুব ভালোবাসি।'
বাংলাদেশে থাকলে তিনি একেবারে ঘরের মেয়ে হয়ে যান। কখনও নিজের বাগান থেকে সবজি পেড়ে নিয়ে আসেন আবার কখনও বা পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটান। জয়া আহসান একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তিনি কখনই কোনও ডায়েট মানেন না। ভাত খেতে ভালোবাসেন তাই ভাত তাঁর ডায়েট চার্ট থেকে বাদ একেবারেই যায়নি। মাঝে মাঝেই জয়া পান্তাভাতের প্রেমে পড়েন। গোটা শুকনো লঙ্কা, পেঁয়াজ ও ভর্তা দিয়ে গুছিয়ে পান্তা খেতে দেখা গিয়েছে জয়াকে। ত্বকের যত্নেও তিনি ঘরোয়া উপকরণকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
স্বামী ফয়জলের সঙ্গে ডিভোর্সের পরও জয়া তাঁর পদবীটি ব্যবহার করেন। জয়া তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন জয়া মাসউদ নামে। তবে মডেল ও অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সঙ্গে বিয়ের পর জয়া নিজের নামের শেষে মাসউদের বদলে জুড়ে নেন আহসান। সেই থেকে অভিনেত্রী দুই বাংলাতে জয়া আহসান নামেই পরিচিত। ১৯৯৮ সালে ফয়সাল আহসানকে বিয়ের পর এই দম্পতির সুন্দরভাবেই কেটে যায় এক যুগ। কিন্তু ১৩ বছরের মাথায় সেই দাম্পত্য আর টেকেনি। শোনা যায়, ২০১১ সালে ফয়সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাকে ডিভোর্স দেন জয়া। যদিও এই বিচ্ছেদের খবর তাঁরা কেউ কখনই নিশ্চিত করেনি।