স্বস্তি বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমনির। মাদক মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন নায়িকা। রোববার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। সেইসঙ্গে অভিযোগপত্রও গ্রহণ করেছে। তবে এদিন পরীমনিকে নিয়ে সরগরম ছিল আদালত চত্বর। নায়িকা কী কী করলেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আদালতে এসে হঠাৎ অসুস্থ পরীমনি
বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন নিতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি ও তার দুই সহযোগী। জামিনও পেয়েছেন তিনি। তারআগে আগে আদালতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন নায়িকা। জানা যাচ্ছে, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আদালতে আসেন পরীমনি। ছয়তলা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন। শুনানির শেষ পর্যায়ে ক্লান্তিতে আদালত কক্ষে এজলাসের ভেতরেই শুয়ে পড়েন তিনি। পরে কর্মরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভিড় সরিয়ে পরীমনিকে তার গাড়িতে তুলে দেন।
সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর আদালতে উপস্থিত হন
মাদক মামলার শুনানিতে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উপস্থিত হন পরীমনি। রোববার সকাল ১০টায় আদালতে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অভিনেত্রী পরীমনি দুপুর একটা পর্যন্ত আদালতে উপস্থিত হননি। পরে দুপুর ১টা ৪০ নাগাদ তিনি আদালতে হাজিরা দেন। বিষয়টি আদালতে জানিয়ে পরীমনির জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি আইনজীবী(পিপি) আবদুল্লাহ আবু। আদালতকে তিনি বলেন, আগে থেকে এই মামলায় শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল। সাধারণত সকাল ১০টায় প্রত্যেক আসামির আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আসামি পরীমনির দুপুর একটা পর্যন্ত আদালতে হাজির হননি। তবে শেষপর্যন্ত আদালত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করে।
‘স্যার, এ রকম ভুল আর হবে না’
দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি আইনজীবী (পিপি) আবদুল্লাহ আবু পরীমনির সময়জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পিপির বক্তব্যের পর পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা আদালতে বলেন, ‘স্যার, এ রকম ভুল আর হবে না।’ শুনানিতে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর্যন্ত এই মামলায় পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। তিনি জামিনের কোনো অপব্যবহার করেননি। তাই আবার তার জামিন মঞ্জুর করা হোক।
প্রসঙ্গত, গত ৪ অগাস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাড়ি থেকে আটক করে ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (ব়্যাব)। সেই সময় তার বাড়ি থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানানো হয়। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করে। ৩১ অগাস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ৫০ হাজার টাকার বন্ডে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করে। গ্রেপ্তারের ৪ সপ্তাহ পর ১ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান পরীমনি।