ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে পরীমণির! সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ করে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাংলাদেশ সহ এপার বাংলাতেও হইচই শুরু হয়ে যায়। পরীর অনুরাগীরা তো প্রায় কেঁদে ভাসার মতো অবস্থা। আর এই খবর শুনে নিজেও আকাশ থেকে পড়ার মতো হাল হয়েছিল পরীমণির। তড়িঘড়ি ফেসবুক লাইভে এসে ঢাকাই নায়িকা জানিয়ে দিলেন তিনি সুস্থ আছেন। আর এই গুজব রটানোর পিছনে অন্য অভিনসন্ধি আছে বলেও জানালেন পরী।
সোমবার সারাদিন পরী শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ফোনও বন্ধ ছিল। আর সন্ধ্যেতে ফোন খুলেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় পরীর। কে বা কারা নাকি নায়িকার ভুয়ো মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছেন। সব থেকে মজার বিষয়, তিনি বেঁচেন আছেন কি না— সেই প্রশ্ন পরীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই জানতে চেয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা! পরী তাঁর ফেসবুক লাইভ চ্যাটে এসে প্রথমেই বলেন যে এই লাইভ একটা ভূত করছে। কারণ মারা যাওয়ার পর তিনি ভূত হয়ে গিয়েছেন। ১০,০০০ মানুষ যাতে ফেসবুক লাইভে যোগ দেন, তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন পরীমণি।
পরীমণি তাঁর লাইভে এসে বলেন, এই মুহূর্তে দেশে যা হচ্ছে, আপনারা সকলেই অবগত। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন স্বনামধন্য শিল্পীকে নিয়ে যা হচ্ছে, সেটা তো কাম্য নয়। সেটা নিয়ে যখন এত কথা হচ্ছে, সেটা থামাতেই কি না...আমি জানি না। পরী এরপর তাঁর দেশের সংবাদমাধ্যমদের কটাক্ষ করে বলেন, ই যে ঝুলন্ত মরদেহটা উদ্ধার করল আমার, তার পরেই লাইভে এসে কথা বলছি আপনাদের সঙ্গে! কোনও একটা ফোকাস সরানোর জন্য মানুষ পরীমণিকেই বেছে নেয়, কেন? আলুর দাম কমাতে পারছে না বলে পরীমণির বিয়ের খবর লিখে দাও। এখন বিয়ে দিতে পারছে না। তাই মেরে ফেলল।
পরীমণি এরপর জানিয়েছেন যে তিনি ৪ বছর আগে তিনি যা বলেছিলেন এখনই সেটাই বলবেন। নায়িকা স্বাভাবিক মৃত্যু পছন্দ করেন। কোনওভাবে আত্মহত্যার পথ তিনি বেছে নেবেন না। পরীমণি উল্টে বলেন, যদি দেখেন হঠাৎ আমার মৃত্যু হয়েছে, জানবেন আমাকে খুন করা হয়েছে। আত্মহত্যা করিনি। প্রসঙ্গত, রবিবার ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা নুসরত ফারিয়া। সোমবার আদালতে তোলা হলে তাঁর ৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেও মঙ্গলবার সকালেই নায়িকার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। নুসরতের ঘটনায় বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের নিন্দায় সরব হন ঢালিউডের তারকারা আর সেদিক থেকে নজর ঘোরাতেই পরীর ভুয়ো মৃত্যু খবর রটানো হয়েছে বলে মনে করছেন পরীমণি।