ছেলের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছেন বাংলাদেশী অভিনেত্রী পরীমণি। রাজ্যের শরীরে দুটি ভাইরাসের খোঁজ মেলায় ঢাকা থেকে সোজা কলকাতায় উড়ে আসেন পরী। ছেলে ভর্তি ছিলেন বাইপাস সংলগ্ন এক হাসপাতালে। তবে পরী-পুত্র এখন অনেকটাই সুস্থ। আর এই সুযোগে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা ঘুরতে বেরিয়ে পড়লেন বাংলাদেশী অভিনেত্রী।
সোশ্যাল মিডিয়া ও একাধিক বিতর্কের জেরে পরীমণি দুই বাংলাতেই যথেষ্ট পরিচিত এক মুখ। আর তিনি কলকাতায় ঘুরে বেড়ালে তাঁকে যে সবাই চিনে ফেলবে এটা তো জানা কথাই। তাই বলে কি পরী কবকাতা ঘুরবেন না? শীতকাল বলে পরীর নিজেকে শীতপোশাকের আড়ালে লুকিয়ে রাখা সহজ হয়েছে। ডেনিম, তার ওপর সাদা রঙের সোয়েটার ও শাল আর মাথায় সাদা রঙের টুপি। এভাবেই নিজেকে ঢেকে ছেলে রাজ্যকে নিয়ে কলকাতায় ঘুরলেন পরী। ছেলেও মায়ের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে বেজায় খুশি। কখনও মায়ের বুকে মুখ লোকাচ্ছে আবার কখনও বা হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে রাজ্য। পরী এই ছবিগুলো পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, পরী পুন্য। বাংলাদেশী নায়িকা তাঁর ছেলেকে পুন্য ও পদ্ম এই দুই নামে ডাকেন।
এর আগেও পরী ও রাজ্যকে কলকাতায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। এই বেড়ানোর ফাঁকেই হলুদ ট্যাক্সি দেখে রাজ্য ভীষণ আনন্দিত। কেননা তার খেলনার তালিকায় এই ক্যাবটাই ছিল। রাজ্যকে দেখে বোঝা যাচ্ছে যে সে এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে। আর রাজ্য সুস্থ হলেই পরীর চোখে-মুখে আনন্দের ছাপ স্পষ্ট হয়। গত বছরের মতে এবারও রাজ্যের অসুস্থতার সময় পরীর পাশে ছিল না বাবা শরিফুল রাজ। এতদিন তাঁর কোনও পাত্তাই ছিল না। সন্তান যে অসুস্থ, তা নিয়েও পোস্ট দেখা যায়নি তাঁর। তবে ছেলেকে নিয়ে এবার পোস্ট দিলেন রাজ। ইমোজির মধ্যে দিয়ে আদর পাঠালেন তিনি। গত বছরও যখন রাজ্য খুব অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সেই সময়ও পরীর পাশে ছিলেন না শরিফুল।
এই মুহূর্তে পরী ও শরিফুল আলাদাই থাকছেন। তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে কিনা সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পরী এখন তাঁর কেরিয়ারে মনোযোগ দিয়েছেন আর ছেলে অন্ত যে প্রাণ সেটা সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এতদিন সবাই জেনে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পরী জানিয়েছিলেন যে রাস্তার ফল খাওয়ার পর তাঁর ছেলে রাজ্য কতটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রথমে ঢাকায় চিকিৎসা হলেও পরে পরী ছেলেকে নিয়ে তড়িঘড়ি কলকাতায় আসেন চিকিৎসার জন্য। তবে ছেলে এখন সুস্থ তা নিজেই জানিয়েছেন পরী।