বাংলাদেশে বিস্ফোরণের চিত্রওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে অশান্তি ছড়িয়েছে। ঘটনার ৬ দিন পরেও বাংলাদেশে যে শান্তি নামগন্ধ নেই তার প্রমাণ মিলছে ঢাকায়। আতঙ্কের আবহেই ফের বিস্ফোরণ বাংলাদেশের রাজধানীতে। যার জেরে মৃত্যু হল এক জনের। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সৈফুল সিয়াম। বিস্ফোরণের পরেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বম্ব স্কোয়াড। সূত্রের খবর, পেট্রল বোমা বিস্ফোরণের জেরেই এই কাণ্ড ঘটেছে।
এদিকে, বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হল। কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা আউড়ে মধুর ক্যান্টিনে ভাঙচুর চালায় এক ব্যক্তি। চেয়ার–টেবিল ভাঙচুর শুরু করেন ওই ব্যক্তি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদের দাবি, জনৈক ব্যক্তিটি মানসিক ভারসাম্যহীন।
স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত যুবক ঢাকার মগবাজার এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। হঠাৎ করেই একটি বোমা সদৃশ্য বস্তু উপর থেকে তাঁর মাথার উপর পড়ে এবং তীব্র শব্দ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর তরফে রিপোর্টে বলা হয়েছে, রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম জানান, রাত পৌনে ৮ টার দিকে নিউ ইস্কাটনের মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ফটকের সামনে বোমার বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রথম আলোর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ওই বোমাটি ফেলা হয়েছিল। কিন্তু কী উদ্দেশ্যে ওই বোমাটি উড়ালপুল থেকে ফেলা হল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
ঘটনার পরেই জামাত প্রেসিডেন্ট ড. শফিকুর রহমান বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তাঁর অভিযোগ, "হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারার খেসারত দিতে হল নিরীহ সিয়ামকে।" তিনি দাবি করেছেন, 'একটি দুষ্টু চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে।'
উল্লেখ্য, বিশেষ বিষয় হল আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বরই বাংলাদেশে ফিরছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যান্ড করবেন তিনি। বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারেক আসার ঠিক একদিন আগে এই মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকায় নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে।