আক্ষরিক অর্থেই মহম্মদ ইউনূসের 'বাড়া ভাতে ছাই'। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলির চাপে এমনিতেই ইউনূসের গদি টলমল। তার উপর হঠাত্ বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি (BNP) হঠাত্ ঘোষণা করে দিল, এবারের জাতীয় নির্বাচনে লড়বেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এদিকে বাংলাদেশে ভোট কবে হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। প্রার্থী ঘোষণা চলছে। শারীরিক অসুস্থতা ও মামলার জটিলতায় দীর্ঘদিন তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনায় দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য বদলে যেতে পারে।
খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনে নয়া রাজনীতির সূচনা
অতীতেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। দু'বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রথমে ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ ও পরে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত। খালেদা ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। বস্তুত, ২০০৬ সালের পরেও বাংলাদেশে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তারপর সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এহেন খালেদার প্রত্যাবর্তনে নয়া রাজনীতির সূচনা হতে চলেছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বুধবার দলের এক সভায় বলেন, ‘দেশে এখন যা অবস্থা, ফেব্রুয়ারির আগেই নির্বাচন হতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। নির্বাচন হলে তিনি অংশগ্রহণ করবেন।’
গত জানুয়ারি মাস থেকে ব্রিটেনে চিকিৎসাধীন ছিলেন
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন করার জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে বিএনপি। বিএনপি-র সভানেত্রী খালেদা শারীরিক সমস্যার কারণে গত জানুয়ারি মাস থেকে ব্রিটেনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসা শেষে মে মাসে বাংলাদেশে ফিরলেও এখনও রাজনীতিতে তাঁর তেমন সক্রিয়তা দেখা যায়নি। তাঁর বদলে দল চালাচ্ছেন খালেদার ছেলে তারেক রহমান। সকলে ভেবেছিল, তারেক লন্ডন থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু খোদ খালেদাই প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন, যা অত্যন্ত ইঙ্গিতবহ।
জামাত ইসলামির বাড়বাড়ন্ত বর্তমানে চোখে পড়ার মতো
বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত পরিচিত মুখ খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা। বলা যেতে পারে, দুই নারী চরিত্রই বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত কয়েক দশক ধরে আধিপত্য চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে লড়তে পারবেন না। অন্যদিকে বাংলাদেশে জামাত ইসলামির বাড়বাড়ন্ত বর্তমানে চোখে পড়ার মতো। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাতের নেতাকর্মীরা সরাসরি পাকিস্তান সেনার হয়ে কাজ করেছিল। ধর্ষণ, গণহত্যা ঘটিয়েছিল। খালেদার স্বামী তথা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাক সেনার প্রথম বাঙালি অফিসার হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন।