শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়া প্রায় ৬ মাস। হাসিনার দেশত্যাগের পর সেদেশ এখন পরিচালনা করেছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকার। তবে এখনও শান্তি ফেরেনি বাংলাদেশে। মাঝে মধ্যেই অশান্তির খবর সামনে আসছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেদেশের সাধারণ মানুষ একটা স্থিতিশীল সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে। যা একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব।
হাসিনার দেশত্যাগের পর বাংলাদেশে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তারাও নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছে একাধিকবার। সেজন্য তৃণমূলস্তর থেকে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে। একাধিকবার মিটিং, মিছিলও করেছে। এবার আসরে খোদ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে জনগণকে আহ্বান জানালেন তিনি।
চিকিৎসার জন্য এখন লন্ডনে রয়েছেন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশে বিএনপির সভায় উপস্থিত ছিলেন না তিনি। তবে তাঁর ভিডিও বার্তা চালানো হয়। তাঁর অভিযোগ, যে ছাত্ররা জুলাই বিপ্লবে অংশ নিয়েছিল তারা একটা পৃথক দল তৈরি করেছে। যাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না ইউনূসের অন্তর্বতী সরকার।
খালেদা জিয়ার মতে, শত্রুরা এখনও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শত্রুরা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্জন নস্যাৎ করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও তাঁর মুক্তির জন্য অনেকে প্রাণ দিয়েছেন। অত্যাচার সহ্য করেছেন। অনেককে বিনা বিচারে আটক রাখা হয়েছে। আদালতে যেতে হচ্ছ। সেই সব কর্মী ও সমর্থকদের ত্যাগ বাংলাদেশের মানুষ মনে রাখবে।
বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করতে তাঁর দল যে বদ্ধপরিকর তাও পরিষ্কার করে দেন খালেদা জিয়া। বলেন, 'আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এখনও ফ্যাসিস্টদের দোসরেরা চক্রান্তে লিপ্ত। আসুন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করি।'
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপি। ভারতের বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছেন একাধিক নেতা। হাসিনাকে ভারত সমর্থন করছে কেন? সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে খালেদা জিয়ার দলের তরফে। তবে আজকের সভা থেকে খালেদা জিয়া ভারতকেই শত্রু বলে উল্লেখ করলেন কি না তা পরিষ্কার নয়।