বাংলাদেশে নৈরাজ্য পরিস্থিতি। দীর্ঘ দিন ধরে অশান্ত বাংলাদেশ। ওপার বাংলার পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয় যে, সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে দেশও ছাড়েন মুজিব কন্যা। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন। বাংলাদেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন বহু ঢালিউড তারকা। তবে নীরব ছিলেন দুই বাংলার অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যদিও তাতেও রেহাই পাননি অভিনেতা। তাঁর নামে ভুয়ো বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে। অবশেষে সোস্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন চঞ্চল।
অভিনেতা জানান, তাঁর মুখে কথা বসিয়ে, নানা জায়গায় ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে, যার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। ফেসবুকে চঞ্চল লিখেন, "আমি চঞ্চল চৌধুরী বলছি… আমার নাম ব্যবহার করে কোন বিদেশী/দেশী পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে,সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যদি কিছু লেখা হয়,তার দায় আমার নয়। কারণ এখন পর্যন্ত আমি কোন পত্র পত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন বিষয়ে কোন বক্তব্য দেইনি।"
অভিনেতা আরও লেখেন, "আমি সাধারণ একজন শিল্পী। পেশাগত কারণ ছাড়া কোন কিছুর সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার মায়ের চরম অসুস্থ্যতাজনিত কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নই। দেশে শান্তি বিরাজ করুক, সকলের মঙ্গল হোক।"
পদ্মাপাড়ের অবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন ওপার বাংলার বিনোদন জগতের শিল্পীরাও। আজমেরি হক বাঁধন, শাকিব খান, নুসরত ইমরোজ তিসা, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আফরান নিশোর মতো শিল্পীরা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী ভাঙচুর হয়েছে বাংলাদেশের একাধিক প্রেক্ষাগৃহ। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দেন মোস্তাফা সারওয়ার ফারুকী, অনন্য মামুনরা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই অবনতি হচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতির। সোমবার ছাত্র আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুরে বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে চড়েন শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। কোটা বিরোধী আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশে হিংসার সূত্রপাত। সেই আন্দোলনই বৃহত্তর আকার ধারণ করে। রাজপথে নেমে আসে লাখো লাখো ছাত্রছাত্রী। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বাধে সংঘর্ষ। নিরাপত্তা বাহিনী হিংস্র জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ।