বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপদ যেন কাটছেই না! এ বার তার মৃত্যুদণ্ড চাইলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। জুলাই গণ-অভ্যুথ্থানের সময় তাঁর শৈরাচারী মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলাতে এই দাবি করেছেন চিফ প্রসিকিউটর। এখানেই শেষ নয়, হাসিনার সঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও যাতে মৃত্যুদণ্ড পান, সেটাও চেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার করা হয় আবেদন
চিফ প্রসিকিউটির মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন করেন বলে জানা গিয়েছে সংবাদ সংস্থা প্রথম আলোর সূত্রে।
আসলে আজ এই মমলার শুনানো চলছিল। সেখানেই চিফ প্রসিকিউটর হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড চাইলেন। তবে শুধু তাই নয়, আসাদুজ্জামান খানেরও মৃত্যুদণ্ড হোক বলে দাবি করেন তিনি।
কত জন এই মামলায় আসামি?
এই মামলায় শেখ হাসিনা হলেন মূল আসামি। তার পাশাপাশি আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধেও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, পুলিশের আইজিপি চৌধুরি আবদুল্লাহ আল মামুনকেও এই মামলায় আসামী করা হয়েছে। প্রত্যেক বিরুদ্ধেই চলছে মামলা।
যদিও আবদুল্লাহ আল-মামুন কোর্টের সামনে রাজসাক্ষী হিসাবে সামনে এসেছেন। এমনকী দিয়েছেন জবানবন্দি। আর সেই বক্তব্যকে একবারে খাঁটি বলে ধরে নিয়েছেন প্রসিকিউটার তাজুল ইসলাম। তিনি মনে করেন, মামুন একবারে ঠিক কথা বলেছেন। তাই তাঁর বিষয়ে একটু ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ট্রাউবুনালের। অর্থাৎ যদি তাঁর সাজা কমানো যায়।
শেখ হাসিনার আইনজীবী কী বললেন?
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে লড়ছেন আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তাঁকে সরকারের তরফেই নিযুক্ত করা হয়েছে। আর আমির হোসেন এ দিন সে ভাবে নিজের যুক্তি খাড়া করেননি। তিনি আরও ১ সপ্তাহ সময় চেয়েছেন।
আবার সোমবার খুলবে ট্রাইব্যুনাল
এই দিনের মতো শুনানি শেষ হয়েছে। আগামি সোমবার আবার নতুন করে শুনানি শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ কয়েকটি দিন সময় পেয়ে গেলেন শেখ হাসিনার উকিল।
বিচার চলছে
বিচারপতি মো.গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এই ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীও রয়েছে। তাদের অধীনেই চলছে বিচার। এখন দেখা যাক বিচার শেষে ঠিক কী আদেশ সামনে আসে। তার উপরই নির্ভর করছে হাসিনার ভবিষ্যৎ।