শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে চিনের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের প্রাক্তন শেখ হাসিনার মৃত্যদণ্ডের ইস্যুতে দূরত্ব বজায় রাখল চিন। বলা ভাল, গোটা বিষয়টি একেবারেই এড়িয়ে গেল। স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই এই নিয়ে বেজিংয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।
চিনের সাবধানী প্রতিক্রিয়া
বস্তুত, বাংলাদেশে বহু প্রকল্পে চিনের বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে চিনের বাণিজ্যিক চুক্তিও অনেক। শেখ হাসিনা সরকারে থাকালীনই বাংলাদেশে চিনের বিনিয়োগ বেড়েছিল। ২০১৬ সাল থেকে বেশি। চিন থেকে ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। সেই দিক থেকে সাবধানী অবস্থান নিল চিন। বেজিংয়ের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। চিন সর্বদাই আপামর বাংলাদেশবাসীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব রাখায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশ ঐক্য, স্থিতিশীলতা ও উন্নতি অর্জন করবে।'
ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন শেখ হাসিনা
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন শেখ হাসিনা। মানবতা বিরোধী অপরাধে সোমবার তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। রায় ঘোষণার পর লিখিত বিবৃতি দিয়ে হাসিনা দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলির সপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। বরং তাঁর আমলে মানবাধিকার এবং উন্নয়নমূলক অনেক কাজ হয়েছে। সে জন্য তিনি গর্বিতও। আওয়ামী লিগ সভানেত্রীর বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই রায় দেওয়া হয়েছে, তাও আবার একটি অনির্বাচিত সরকারের অধীনস্থ অবৈধ ট্রাইবুনাল সেই রায় দিয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডের রায়ও প্রত্যাখ্যান করেছেন হাসিনা
মৃত্যুদণ্ডের রায়ও প্রত্যাখ্যান করেছেন হাসিনা। তাঁর কথায়, ‘এই রায় অন্তর্বর্তিকালীন সরকারে থাকা চরমপন্থী ব্যক্তিদের নির্লজ্জতা ও খুনি মনোভাবের প্রতিফলন মাত্র। বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করতে এবং আওয়ামী লিগকে রাজনৈতিক ভাবে ভেঙে দিতে এই কাজ করা হয়েছে।’
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়দান ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছিল বাংলাদেশে। সোমবার রায় ঘোষণার হওয়ার পরে তা আরও বেড়ে গিয়েছে। ঢাকা সহ বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় আওয়ামী লিগ কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর আসছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই পরিস্থিতি অশান্ত। এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।