চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা। শনিবারের পর রবিবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল ক্যাম্পাস চত্বর। এদিন দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট নম্বর ২ এর কাছাকাছি একটি দোকান এবং লন্ডনি বিল্ডিং সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয় সংঘর্ষ।
কী নিয়ে সংঘর্ষ?
সূত্রের খবর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রী ২ নম্বর গেট মাছ বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে ঢুকতে চাইলে দারোয়ান তাঁকে বাধা দেন বলে অভিযোগ। শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, দারোয়ান ওই ছাত্রীকে মারধরও করেন। এরপরেই সেই ছাত্রী তাঁর বন্ধু, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ফোন করে বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে কয়েকজন পড়ুয়া এসে সেখানে জড়ো হন। তারপর তাঁরা ওই দারোয়ানের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হট্টগোল শুনে স্থানীয়রাও বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাঁরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এমন সময়ে হঠাৎ স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা করতে শুরু করেন। আর তাতেই পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়। আরও অনেকে এসে জড়ো হন। অন্যদিকে খবর পেয়ে আরও অনেক পড়ুয়া এসে জড়ো হন।
শনিবারের পর রবিরারও নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। শনিবার ও রবিবার মিলিয়ে এই ঘটনায় ১৫০ জনেরও বেশি পড়ুয়া ও স্থানীয়রা আহত হয়েছেন। আহতদের দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রণক্ষেত্র ক্যাম্পাস
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। হাতে বাঁশের লাঠি ও কাঠের টুকরো নিয়েও আক্রমণ চলে। মুহূর্তের মধ্যেই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সংঘর্ষ চলাকালীন বেশ কিছু ছাত্রকে আশপাশের বাড়িতে পাথর ছুড়তে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
পুলিশের অনুপস্থিতি
ঘটনাস্থলে কোনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছিলেন না বলে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে। এই ঘটনার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
টানা দুই দিনের সংঘর্ষের পরেও দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ এবং প্রশাসন সময়মতো পদক্ষেপ নিলে পরিস্থিতি এতটা ভয়ঙ্কর রূপ নিত না।