Boycott Bangladesh: 'বয়কট বাংলাদেশ', দিল্লিতে বড় সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের একাংশের

গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়টি শিরোনামে রয়েছে। এদিকে দিল্লির কয়েকজন ব্যবসায়ী বাংলাদেশকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার কারণে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বর্জনের ঘোষণা করেছে কাশ্মীর গেটে অবস্থিত অটো পার্টসের পাইকারি বিক্রেতারা।

Advertisement
 'বয়কট বাংলাদেশ', দিল্লিতে বড় সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের একাংশেরবাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বয়কট দিল্লিতে

গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়টি শিরোনামে রয়েছে। এদিকে দিল্লির কয়েকজন ব্যবসায়ী বাংলাদেশকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার কারণে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বর্জনের ঘোষণা করেছে কাশ্মীর গেটে অবস্থিত অটো পার্টসের পাইকারি বিক্রেতারা।

এজেন্সির মতে, অটোমোটিভ পার্টস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিনয় নারাং বলেছেন, "বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে, কাশ্মীরি গেট অটো পার্টস মার্কেট প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে  ব্যবসা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"

বিনয় নারাং বলেন, "সেখানে (বাংলাদেশ) হিন্দুদের ওপর নৃশংসতা চালানো হয়েছে, আমাদের মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে এবং অনেক হিন্দু ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এটা ভুল ছিল, আমাদের বাজার বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।।"

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত গাড়ির যন্ত্রাংশ রফতানি  বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পরিবহনে প্রভাব ফেলতে পারে। প্রায় ২০০০ দোকান বাংলাদেশে রফতানি  বন্ধ করে দিয়েছে।

ভারতের কাছে বাংলাদেশের দাবি
ইউনূস সরকারের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডঃ তৌহিদ হোসেন ২৩ ডিসেম্বর একটি কূটনৈতিক নোট পাঠানোর সময় একটি দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার আইনি প্রক্রিয়ায় হাসিনার প্রত্যর্পণ চায়। বর্তমান সরকার অভিযোগ করছে যে হাসিনার শাসনে  অনেক লোক হিংসার শিকার হয়েছিল, এমনকি বিক্ষোভকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। হাসিনা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ৬০টিরও বেশি অভিযোগের মধ্যে গণহত্যাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার এই তদন্তের জন্য হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে গ্রেফতার করতে চায়। তারা  ভারতের কাছে ক্রমাগত এই অনুরোধ করছেন। সম্প্রতি পাঠানো কূটনৈতিক বার্তাও এ বিষয়ে ছিল। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ আনুষ্ঠানিক ছিল না, বরং এটি ছিল একটি মৌখিক নোট , যাতে কোনও বিশেষ কর্মকর্তার স্বাক্ষর  ছিল না। এর মানে ঢাকার পক্ষ থেকে কিছু বাঁচানোর উপায় বের করার চেষ্টা চলছে।

শেখ হাসিনা কোথায়?
বাংলাদেশের প্রাক্তন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লির উপকণ্ঠে একটি সেফ হাউসে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। DW  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদও তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement