Dhaka: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সমাহিত হাদি, ইউনূসকে আল্টিমেটাম ইনকিলাব মঞ্চের

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আসে হাজার হাজার মানুষ। শনিবার বিকেলে জানাজা হয়। মিছিলে এসে হাদির ন্যায়বিচারের দাবিতে স্লোগান তোলে তারা।

Advertisement
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সমাহিত হাদি, ইউনূসকে আল্টিমেটাম ইনকিলাব মঞ্চেরওসমান হাদির জানাজায় উপচে পড়া ভিড়

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আসে হাজার হাজার মানুষ। শনিবার বিকেলে জানাজা হয়। মিছিলে এসে হাদির ন্যায়বিচারের দাবিতে স্লোগান তোলে তারা।

ড্রোনে বিরাট এই জনসমাগমের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা জনগণ  হাদির "শাহাদাত" বৃথা যাবে না বলে দাবি তুলতে থাকে। হাদির খুনীদের শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

হাদিকে গুলি করে খুনের পর বাংলাদেশ জুড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সমর্থনকারীরা।  বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকায় চলে ভাঙচুর। ছায়ানটে ভেঙে ফেলা হয় বাদ্যযন্ত্র। সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোয় লাগানো হয় আগুন। শুক্রবার দিনভর অশান্ত ছিল বাংলাদেশ। শুক্রবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরে হাদির দেহ। শনিবার বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাজায় অংশ নেয়।

এদিন প্রশাসন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সেনাবাহিনী এলাকায় টহল দিয়েছে,  বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

হাদির পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী তাকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে কবর দেওয়া হয়।

১২ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টন এলাকায় গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে হাদি মারা যান। প্রথমে তাকে ঢাকায় চিকিৎসা করা হয়। এর পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তিনি মারা যান।

ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদির সহকর্মী আবদুল্লাহ আল জাবের শুক্রবার মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তিনি হাদির হত্যার জন্য দায়ীদের সনাক্ত এবং গ্রেফতারের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকারকে জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন।
 

POST A COMMENT
Advertisement