দুর্গাপুজো আর মাত্র কয়েকদিন। তার আগেই বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেল মন্দিরে ভাঙচুর। ঘটনাস্থল গাজিপুর নগরের কাশিমপুর শ্মশান। সেখানে একটি মন্দিরের ৬টি প্রতিমা ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনা গত বুধবারের। তবে সম্প্রতি সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। যদিও পুলিশের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দিনে দুপুরে এই মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়। কে বা কারা এসে এই কাজ করেছে তা জানা নেই। ওই মন্দিরে প্রতিবার দুর্গাপুজো হয়। সেজন্য প্রতিমা নির্মিত হচ্ছিল। দুপুরে মৃৎশিল্পীরা বাড়ি গিয়েছিলেন। সন্ধেবেলা এসে দেখেন, মন্দিরের ভিতরে রাখা প্রতিমা ভাঙা। ছটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই মন্দিরের আশপাশে কোনও সিসিটিভি ছিল না। তবে ঘটনার পর থেকে তাঁরা আতঙ্কিত।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে এক ব্যক্তি জানান, প্রতিমাগুলো ত্রিপল দিয়ে ঢাকা ছিল। বৃষ্টি হচ্ছিল। বিকেলে এসে মূর্তির কারিগররা দেখেন প্রতিমাগুলো ভাঙা হয়েছে। পুজো শুরু না হওয়ায় এখনও পাহারার ব্যবস্থা করা হয়নি। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে দৃষ্কৃতীরা।
ঘটনা নিয়ে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মনিরুজ্জামান জানান, তাঁরা ঘটনা নিয়ে অবগত। তবে লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করেছে, দুষ্কৃতীরা চুরি করতে এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নতুন করে প্রতিমা তৈরা হবে বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বাংলাদেশের নেত্রকোণার কান্দুলিয়া কালীবাড়িতেও দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায়। দুর্গাপুজোর জন্য অস্থায়ী মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছিল। রাতে কাজ শেষের পর কাপড় এবং ত্রিপল দিয়ে মূর্তি ঢেকে রাখা হয়েছিল। পুজোর আগে বাকি কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। হিন্দু সন্ন্যাসীদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। গত বার দুর্গাপুজো ছাড়াও একাধিক সময়ে মন্দির ভাঙচুর হয়েছে, হিন্দুদের বাড়ি, ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভয়ে অনেকে ঘরছাড়াও হয়েছে। বাংলাদেশে বেড়েছে মৌলবাদীদের উৎপাত। ইউনূস সরকার মুখে তা দমনের কথা বললেও কাজে করে দেখাতে পারেনি। তাতে বেজায় বিপাকে সংখ্যালঘুরা।