scorecardresearch
 

Bangladesh PM Sheikh Hasina on Durga Puja : বাংলাদেশে মণ্ডপ-মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে রেয়াত নয়, কড়া বার্তা হাসিনার

Bangladesh PM Sheikh Hasina on Durga Puja: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Hasina) এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যারাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, কাউকে ছাড়া হবে না।

Advertisement
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
হাইলাইটস
  • বাংলাদেশের অনেক জায়গায় দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়
  • অভিযোগ, কয়েকটি জায়গায় ভাঙচুর করা হয়েছে
  • বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন

Bangladesh PM Sheikh Hasina on Durga Puja: বাংলাদেশে বেশ বড়সড় অভিযোগ উঠেছে। সেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়। এবারও হয়েছিল কিন্তু অভিযোগ, কয়েকটি জায়গায় ভাঙচুর করা হয়েছে।

কড়া বার্তা হাসিনার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Hasina) এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যারাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, কাউকে ছাড়া হবে না। শেখ হাসিনার বার্তা যে ধর্মের মানুষই এই কাজ করে থাকুক না কেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Hasina) ঢাকা ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। বলেছেন কুমিল্লা জেলায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। যারাই হিন্দু মন্দিরে আর দুর্গাপুজা মণ্ডপে হামলা করে থাকুক না কেন, তাদের মধ্যে কাউকেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। 

এর পাশাপাশি তিনি (Bangladesh PM Sheikh Hasina) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গোলমাল যারা পাকিয়েছেন, তাদের ধর্ম যাই হোক না কেন, তাদের দেখা হবে না। তিনি বলেছেন, এই হামলার পিছনে তারাই রয়েছে, যাদের সঙ্গে মানুষের কোনও যোগাযোগ নেই। 

সোশাল মিডিয়া পোস্ট
এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, কোরানকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তারপর গোলমাল শুরু হয়ে যায়। এর পর বেশ কিছু দুর্গাপুজো মণ্ডপে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে সেখানে পুলিশকর্মী নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হয়।

বিডিনিউজ২৪-এর একটা রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় এক পুজোমণ্ডপে কোরানের অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তারপরেই একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এবং এরপর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় বলে খবর। 

Advertisement

ছড়িয়েছে হিংসা
তা যেন ছড়িয়ে পড়তে থাকে চাঁদপুরের হাবিবগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের পেকুয়া আর শিবগঞ্জের চাঁপাইনবাবগঞ্জের। এই ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এরপর বাংলাদেশ হিন্দু ইউনিটি কাউন্সিলের তরফের টুইট করা হয়েছিল।

সেখানে দাবি করা হয়েছে, ১৩ অক্টোবর, ২০২১ বাংলাদেশের ইতিহাসে নিন্দনীয় দিন। অষ্টমীর দিন বিসর্জনের সময় বেশ কয়েকটি পুজোমণ্ডপে ভাঙচুর করা হয়েছে। হিন্দুরা পুজামণ্ডপের নিরাপত্তার কাজ করছেন। আজ পুরো দুনিয়া চুপ রয়েছে। মা দুর্গার নিজের আশীর্বাদ দুনিয়ার সব হিন্দুর ওপর বজায় রাখুন। 

কড়া বার্তা বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কড়া পদক্ষেপ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। চাঁদপুরের এক স্থানীয় হাসপাতাল বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর কথা বলছিল। তখন তারা দাবি করেন, তিনজন গুরুতর আহত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে। তাঁরা হিংসার ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ এই ঘটনার স্বীকার করেনি। তাঁরা যে হিংসার ফলেই মারা গিয়েছেন, গোলমালের জেরেই আহত হয়েছেন বা মারা গিয়েছেন এমন কোনও ঘটনা পুলিশ মানতে চায়নি।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কুমিল্লা জেলায় যে ঘটনা হয়েছে, যারা গোলমাল পাকিয়েছে, তাদের খুব শিগগিরই ধরে ফেলা হবে প্রশাসনকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাতে এই মামলা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান করা হয়।

 

Advertisement