scorecardresearch
 

২০০ টাকায় ইলিশ ! তাও কেটেকুটে দোরগোড়ায় ! আত্মহারা ইলিশপ্রেমীরা

২০০ টাকায় ইলিশ ! তাও আবার বাড়িতে দোরগোড়ায়, কেটেকুটে পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন বিক্রেতারা। এত স্স্তা, এত সুবিধা ! কোথায় মিলছে এমন ইলিশ ? জানেন কী ?

Advertisement
এভাবেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এভাবেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে
হাইলাইটস
  • ২০০ টাকায় বাড়িতে ফেরি হচ্ছে ইলিশ
  • কেটেকুটে একেবারে রান্নার জন্য তৈরি
  • প্রচুর মজুত, তাই সস্তা, দাবি বিক্রেতাদের

দেশের বাজারে ইলিশ আগুন

বাজারে গেলেই হাত পুড়ছে ইলিশপ্রেমীদের। হাজারের নীচে ভাল ইলিশ ছোঁয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ডায়মন্ডহারবার, কাকদ্বীপের ট্রলার খালি হাতে ঘুরে আসছে। ফলে সেই অর্থে যোগানও নেই। পুরনো হিমঘরের ইলিশেই কোনও মতে ইলিশের রসনা তৃপ্তি করতে হচ্ছে। তাতেও আগুন বাজার। 

২০০ টাকা কেজিতে ইলিশ !

সেখানে ২০০ টাকায় মিলছে ইলিশ। এমন খবর পাওয়ার পর ইলিশপ্রেমীদের চোখ কপালে। শুধু ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তাই নয়, একেবারে কেটেকুটে পিস করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন বিক্রেতারা। দামে কম এবং কাটার ঝামেলা না থাকায় অনেকেই কিনছেন।

কেটেকুটে বাড়িতে ইলিশ

বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় এমন কাটা ইলিশে মজেছেন ইলিশপ্রেমীরা। বাগেরহাট শহরের বিভিন্ন জায়গায় মাইকে ঘোষণা করে এই কাটা ইলিশ বিক্রি করছেন। থার্মোকলের বাক্সে বরফ দিয়ে ভরে কাটা ইলিশ নিয়ে ঘুরছেন বিক্রেতারা। ক্রেতা এগিয়ে এলে হাসিমুখে তাদের হাতে ইলিশ এগিয়ে দিচ্ছেন, বিক্রেতারা জোরাজুরি করলে মিলছে খবর ১ কেজি ২০০ টাকা শুনে অনেকেই দু-তিন কেজি কিনে রাখছেন ধীরেসুস্থে খাবেন বলে।

কীভাবে সস্তা, সন্দেহ দেশেই

তবে এই সস্তার ইলিশ নিয়ে অনেকের মধ্যেই নানা রকম প্রশ্ন উঠছে। যেখানে ৭০০-৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম কমপক্ষে ৫০০ টাকা হওয়া উচিত, সেখানে কীভাবে এত কম দামে ইলিশ দিচ্ছেন ওই বিক্রেতারা তা নিয়ে সন্দিহান ওদেশের অনেকেই।

নানা মত উঠে আসছে

অনেকে বলছেন, কোল্ড স্টোরেজে থাকা পুরনো ইলিশ বাজারে ছেড়ে দেওয়ার জন্যই সস্তায় বিক্রি করে দায় মুক্ত হচ্ছেন ইলিশ এর মালিক, আবার অনেকে মনে করছেন চুরি করে এই ইলিশ বিক্রি করা হতে পারে। তবে বাংলাদেশের বণিকসভাগুলি মনে করছে, কোনও অসৎ উদ্দেশ্য বা বিদেশি মাছ ইলিশ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করাও হতে পারে।

Advertisement

একাধিক এলাকায় ইলিশ মিলছে এভাবে

সাতক্ষীরা, বাগেরহাট বিভিন্ন জায়গায় এই মাছ বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রেতাদের যুক্তি একেক জায়গায় একেক রকম। কেউ বলছেন ঈদের আগে মাছ এনেছিলাম, বিক্রি হয়নি। লকডাউনে বাজারে ক্রেতা নেই। তাই বাধ্য হয়ে মাছ বিক্রি করে দিচ্ছি। সস্তায় বিক্রি করেও প্রতিদিন হাজার খানেক টাকা বাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারছে লাভ হিসেবে বলে জানিয়েছেন অনেকেই। আবার অনেকে বলছেন মজুত মাছ ছেড়ে দিতেই এই উপায়।

সামান্য লাভে ইলিশ ছাড়ছেন বিক্রেতারা

জানা গিয়েছে চট্টগ্রাম থেকে এই ইলিশগুলি আনা হচ্ছে। কারও কারও কাছে ৫ টন, কারও কাছে ৩ বা ২ টন ইলিশ মজুত রয়েছে। মাছগুলো বিক্রির বাজার না পেয়ে অন্তত খরচের টাকা যাতে উঠে আসে, সেটুকু রেখে সামান্য লাভে তাঁরা বিক্রি করে দিচ্ছেন। যাতে ছোট ক্রেতারাও কিনতে পারেন তাই আধ কিলো কিংবা এক পোয়া হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এত সস্তায় ইলিশ মাছ অনেকেই আগ্রহী হয়ে কিনছে।

বাংলাদেশে পাড়ি ?

তাহলে সস্তায় ইলিশ যদি পেতে চাইলে আপাতত দেশ ছেড়ে বাংলাদেশের পাড়ি দিতে হবে।

 

Advertisement