জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে পতন হয় শেখ হাসিনার সরকারের। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। এর পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা শোচনীয়। বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া, মন্দির ভাঙচুর, মারধর, খুন, ধর্ষণের মতো নৃশংসতা হিন্দুদের সঙ্গে হয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। আর সেই সব ঘটনারই এ বার নিন্দায় সরব হল ব্রিটেনের সরকার। তাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর হিংসা, অত্যাচারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা হল।
আসলে হাউজ অব কমন্সে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান বাংলাদেশি হিন্দুদের শোচনীয় অবস্থা নিয়ে আওয়াজ তোলেন। তিনি নিজের স্বপক্ষে কমিউনিটি অর্গানাইজেশন ইনসাইট ইউকে-এর একটি রিপোর্ট সামনে আনেন।
ব্রিটিনে বসবাসরত হিন্দুদের অল পার্টি পার্লামেন্টরি গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্ল্যাকম্যান জানান, এই রিপোর্টে অত্যাচার এবং হিংস্রতার কথা উল্লেখ করা রয়েছে। বিশেষত, দীপাবলি যত সামনে আসছে, ততই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, হিন্দুদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, ব্যবসায় ক্ষতি করা হয়েছে, এমনকী ভেঙে ফেলা হয়েছে মন্দির। অর্থাৎ সোজা ভাষা চরমে উঠেছে ধর্মীয় নির্মমতা।
এই বিষয়ে লিডার অব দ্য হাইজ স্যার অ্যালান ক্যাম্পবেল বলেন, 'আমরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুর উপর যে কোনও ধরনের আঘাতের নিন্দা করি। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি মানবিক করার জন্য সবসময় কাজ করে চলেছি। এবং চেষ্টা করছি যাতে অন্তবর্তী সরকারের পাশে থেকে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ফেরানো যায়। আমরা ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রাখার পক্ষে।'
আলাদা করে সুরক্ষার কথা বলা হয়নি
বাংলাদেশি হিন্দুদের সুরক্ষার বিষয়ে ব্রিটেন কী করছে, এই বিষয়ে একটি প্রশ্ন করেন ব্ল্যাকম্যান। তবে এই বিষয়ে ক্যাম্পবেল তেমন কোনও সদুত্তর দেননি। বরং বলা ভাল এড়িয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ ব্রিটেনের সরকার ধর্মীয় সুরক্ষার বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তার পরই ব্ল্যাকম্যান বলেন, 'কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধরা নিজেদের উৎসবে অংশ নেবেন। যদিও বাংলাদেশে এটা কোনওভাবেই সম্ভব নয়।'
যদিও এই ধরনের ধর্মীয় নির্মমতার অভিযোগ সবসময়ই উড়িয়ে এসেছেন মহম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তী সরকার। বাংলাদেশে হিন্দুরা ভালো আছেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। যদিও বাস্তব একবারেই উল্টো কথা বলছে বলেই অভিযোগ। তার সরকারে আমলেই জামতের দাপাদাপি বেড়েছে। হিন্দুদের উপর চলছে অত্যাচার বলে মনে করছেন অনেকে।