ছবিতে অমৃত মণ্ডল, তাঁকেই খুন করেছে জনতা বাংলাদেশে ফের হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুন। এবার ঘটনাস্থল রাজবাড়ি। মৃত যুবকের নাম অমৃত মণ্ডল। তিনি এলাকায় সম্রাট নামেও পরিচিত ছিলেন। ২৯ বছরের ওই যুবককে নৃশংসভাবে খুন করা হয় বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ। কয়েকদিন আগেই ময়মনসিংহের ভালুকায় ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকেও খুন করেছিল মৌলবাদীরা। সেই রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই এই ঘটনা সামনে এল।
ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় থানার আধিকারিক দেবব্রত সরকার এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মর্গে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে আরও প্রকাশ, পুলিশ সম্রাটের এক সহযোগী মহম্মদ সেলিমকে আটক করেছে। তার কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। যার মধ্যে রয়েছে একটি পিস্তল এবং একটি লোকাল ওয়ান-শুটার বন্দুক।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে কমপক্ষে দুটি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে একটি হত্যা মামলাও। স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছে, সম্রাট একটি অপরাধী দল পরিচালনা করতেন। তোলাবাজি-সহ অন্য বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি গ্রামে ফিরে আসার আগে দীর্ঘদিন ভারতে লুকিয়ে ছিলেন ওই যুবক।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, সম্রাট স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই ব্যক্তি তা দিতে অস্বীকার করায় তাঁর বাড়িতে আসেন সম্রাট ও তাঁর দলবলের লোকজন। তখন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করতে শুরু করেন শহিদুলের বাড়ির লোকজন। দলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। তবে সম্রাটকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। সেলিমকে অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা।
প্রসঙ্গত, মহম্মদ ইউনূসের জমানায় বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার সবথেকে বেশি বেড়েছে। শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পরই সেখানে কার্যত হিন্দু নিধন শুরু হয়। বহু সংখ্যালঘুর বাড়িতে অত্য়াচার করে মৌলবাদীরা, লুটপাট চালায়। মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনাও সামনে এসেছিল। সম্প্রতি পোশাক কারখানার শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে খুন করেছিল উগ্রপন্থীরা। সেই ঘটনার ফের পুনরাবৃত্তি।