বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। এদিকে বড় দাবি করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটি ভিডিওতে শেখ হাসিনা বলেন, গত বছরের ৫ অগাস্ট ঢাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে তাঁকে এবং তাঁর বোনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আওয়ামি লিগের পক্ষ থেকে ফেসবুকে পোস্ট করা একটি আবেগঘন ভিডিওতে হাসিনা বলেন, শুধুমাত্র আল্লাহর রহমতে তিনি তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে রয়েছেন হাসিনা। সেখান থেকেই তিনি বলেন, 'আমি ও আমার বোন শেখ রেহানা বাঁচতে পেরেছি। আমরা যদি ২০-২৫ মিনিট দেরি করতাম, তাহলে আমাদের হত্যা করা হত।'
হাসিনা আসলে ২০২৪ সালের অগাস্টে গ্রেনেড হামলার কথা উল্লেখ করছেন। যে হামলায় তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। যদিও সেদিনের হামলায় অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তিনি কোটালীপাড়া বোমা ষড়যন্ত্রের কথাও উল্লেখ করেছেন। ২০০০ সালের জুলাই মাসে ওখানকার একটি কলেজে যাওয়ার কথা ছিল হাসিনার। ওই স্কুল থেকেই বোমা পাওয়া গিয়েছিল।
ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত
সম্প্রতি খবর এসেছে যে ভারত সরকার শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে, এরপর তাঁর ভারতে থাকা নিয়ে আর কোনও সমস্যা হবে না। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসার পরে শেখ হাসিনা ভারতের হিন্দন এয়ারবেসে পৌঁছন। যেখান থেকে তাঁকে দিল্লিতে একটি সেফ হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকেই সেখানেই তিনি আছেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস ২৩ ডিসেম্বর ভারত সরকারের কাছে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আবেদন করেছিলেন। ইউনূস একাধিকবার শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়েছেন। বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক ফৌজদারি মামলা রয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলাও হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এসব নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ বড় জয় পায়। আওয়ামী লিগ সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২২৪টি আসন পেয়েছিল। শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনিই প্রথম মহিলা যিনি দীর্ঘতম সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।