বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর হিন্দুদের উপর একের পর এক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। সে দেশে হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ থেকে মন্দিরে মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে মৌলবাদিরা। তার প্রতিবাদে বাংলাদেশে রফতানি বন্ধের দাবি করেছেন ভারতের কয়েকজন নেতা। ওদিকে, বাংলাদেশিরাও ভারতীয় পণ্য বয়কটের দাবি করছেন। তবে 'ভারত বয়কট' যে সম্ভব নয়, তা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সালেহউদ্দিন জানান, রাজনীতির কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে কোনও প্রভাব পড়বে না। সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন,'যেখান থেকে কম দামে এবং ভালো মানে পণ্য পাওয়া যাবে, সেখান থেকেই কিনবে দেশ'। অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি (ACCEA) এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির (ACCGP) বৈঠকের পর সালেহউদ্দিন জানান,'আমরা কম দামে, ভালো গুণগতমানের এবং তাড়াতাড়ি পণ্য পাওয়া যাবে এমন জায়গা থেকেই পণ্য কিনব। এই সব বিষয় মাথায় রেখেই মায়ানমার, ভারত-সহ অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে'।
রফতানি নিষেধাজ্ঞার যে দাবি উঠেছে তা অপ্রাসঙ্গিক বলে অভিহিত করেছেন সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন,'রাজনীতিবিদরা অনেক কিছুই বলতে পারেন। রফতানিকারীরা সে সবে কান দেন না। উৎপাদকরা পণ্য বেচে মুনাফা করে। লাভ থাকলে তারা আমাদের বিক্রি করবে বা অন্য কারও কাছে'।
বাংলাদেশের বাজারে কি পণ্য সরবরাহ কমছে?
বাংলাদেশের বাজারে অস্থিতিশীলতার দাবি খারিজ করে দিয়েছেন সালেহউদ্দিন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান ধরে রাখতে সরকার চেষ্টা খামতি রাখছে না। তিনি বলেন,'আসন্ন রমজানে বাজার স্থিতিশীল থাকবে কারণ আমরা জোগান বাড়ানোর ব্যবস্থা করছি। বিবিধ সমস্যা রয়েছে, সেগুলির সমাধান করা দরকার। সেই সমাধান আমরা করছি। বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার পিছনে রয়েছে সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীরা। রাজনীতি বোঝা কঠিন, কিন্তু ডাকাতদের চেনা খুব সহজ।'
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বিলিয়ন ডলারের
বিদেশ মন্ত্রকের ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যান বলছে,এশিয়ার ভারতের বৃহত্তম রফতানি বাজার বাংলাদেশ। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ভারতে বাংলাদেশের রফতানি ছিল প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৫.৯ বিলিয়ন ডলার।