পহেলগাঁও হামলার পর অ্যাকশন মোডে ভারত। যে সব দেশ পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে তাদের উপর রুষ্ট দিল্লি। এই তালিকায় তুরস্ক ও আজারবাইজানের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশও। চিনে গিয়ে ভারত সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন সেই দেশের অন্তর্বতীকালীন প্রধান মহম্মদ ইউনূস। তারপর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের 'অলিখিত' দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে একাধিক পণ্যের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের নয়া নির্দেশ অনুসারে, বাংলাদেশের পোশাক, ফল, কাঠের জিনিস ইত্যাদি আর ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে পারবে না। পোশাকের জন্য খোলা থাকবে কেবল কলকাতা ও মুম্বই বন্দর। এর ফলে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে ৭৭০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৯৩৬৭ কোটি। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ-এর দাবি অনুসারে, স্থলবন্দর বন্ধ করার ফলে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ আমদানিতে কোপ পড়েছে।
GTRI-এর মতে, বাংলাদেশ থেকে শুধু পোশাকের আমদানি বন্ধের ফলে প্রতিবেশী দেশের ক্ষতি হবে ৬১৮ মিলিয়ন ডলার। আবার মাত্র ২ বন্দর দিয়ে ব্যবসা সীমিত থাকার ফলে খরচও বাড়বে বাংলাদেশের। এতেও তাদের আর্থিক ক্ষতি হবে।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হওয়ার পিছনে দায়ি আসলে মহম্মদ ইউনূস। তিনি চিনে গিয়ে বলেছিলেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি স্থলবেষ্টিত। সমুদ্রে প্রবেশের জন্য ভারত বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল। ইউনূসের এই মন্তব্য মোটেও ভালোভাবে নেয়নি ভারত।
এছাড়াও ২০২৪ সালের শেষ থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। গত এপ্রিলে বাংলাদেশ তাদের প্রধান ৫ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতো আমদানি নিষিদ্ধ করে। তাতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জটিল হয়।