শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র মারফত এই খবর সামনে এসেছে। গতকালই শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছিল মহম্মদ ইউনূসের প্রশাসন। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাসিনাকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার।
গত ৫ অগাস্ট থেকে ভারতে রয়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে সরকারের তরফে। তবে হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে সেই দেশের অন্তর্বতীকালীন সরকার। সেজন্য আবেদনও করেছে ভারতের কাছে। নরেন্দ্র মোদীর সরকার যদিও তা নিয়ে একটি বাক্যও ব্যয় করেনি।
প্রসঙ্গত, গতকালই হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। হাসিনা-সহ ৯৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এক প্রেস বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার একথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, যে ৯৭ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে ৭৫ জন জুলাই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত। বাকি ২৫ জনের বিরুদ্ধে গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এঁদের মধ্যে শেখ হাসিনাও রয়েছেন।
এর আগে হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনাকে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে এই আবেদনে সাড়া দেয়নি ভারত। তারই মধ্যে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হল।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন মারাত্মক আকার ধারণ করে। কয়েক শো মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন অনেকে। সেই বিক্ষোভের আঁচ গড়ায় অগাস্টেও। আন্দোলন এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে যে, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ভারতে এসে আশ্রয় নিতে হয়। অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করে মহম্মদ ইউনূস। তারপর থেকেই আওয়ামি লিগের নেতাদের উপর অত্যাচার নেমে আসে বলে অভিযোগ। সংখ্যালঘু হিন্দুদেরও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় এক সন্ন্যাসীকে। যার বিরোধিতা করে ভারত।