সম্প্রতি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশে। বিপুল ভোটে জিতে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারত ‘প্রতিবেশীসুলভ আচরণ’ করেছে বলে মন্তব্য করলেন আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ও হাসিনা মন্ত্রিসভার অন্যতম মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “বিএনপি যখন কোনো কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল, তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, সংসয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভেঙে দিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের চিড় ধরার কোনো কারণ নেই।”
রবিবার ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবদিকদের মুখোমুখি হল বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, “নতুন সরকারের কাজে যখন বাধা আসবে, তখন সেটা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। তারা (বিএনপি) এখানে যদি স সহিংস কোনো কর্মসূচি নেয়, কিংবা সাধারণ কর্মসূচি দিয়ে হিংসা ছড়ায়, তবে সেটার মোকাবিলা আমাদের করতে হবে। কারণ আমরা ক্ষমতায় আছি, জনগণের নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে।”
সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভারত আমাদের সঙ্গে সৎ প্রতিবেশীর আচরণ করেছে। এ আচরণের প্রয়োজন ছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে কিছু কিছু অপজিশন কোনো কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে এখানে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। নির্বাচনটাকে ভন্ডুল করতে চেয়েছিল। সে সময় ভারত আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। সে কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সংশয় আর অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভবিষ্যতেও ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে চিড় ধরার কোনো কারণ দেখছি না। ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী সব ধরনের সংশয়-অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন। সংশয় থাকলে এত উন্নয়ন হতো না।