Bangladesh : সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকির পরই বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে তলব দিল্লির, কী হল বৈঠকে?

বিদেশমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সম্প্রতি কিছু ঘটনা নিয়ে ভারত খুশি নয়। কারণ, যে সব কথা বলা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা। কোন প্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, তার বর্ণনাও করা হয়নি।

Advertisement
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকির পরই বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে তলব দিল্লির, কী হল বৈঠকে?   বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে তবল
হাইলাইটস
  • জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে
  • তা নিয়ে উদ্বিগ্ন

জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। সম্প্রতি সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ভারতকে হুমকি দেয় বাংলাদেশের এক নেতা। তারপরই বাংলাদেশের হাই কমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাকে তলব করল দিল্লি। যদিও বিদেশ মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে এই ঘটনার উল্লেখ করেনি। তবে জানিয়েছে, বাংলাদেশের বেশ কিছু ঘটনার উপর দৃষ্টি আকর্ষণ করানোর জন্য হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের অফিসের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।  

বিদেশমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সম্প্রতি কিছু ঘটনা নিয়ে ভারত খুশি নয়। কারণ, যে সব কথা বলা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা। কোন প্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, তার বর্ণনাও করা হয়নি। ফলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে। MEA বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকার ঘটনাগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেনি বা ভারতের সঙ্গে কিছু শেয়ার করেনি। এটা করলে দুই দেশের সুবিধা হতো।'

সম্প্রতি বাংলাদেশের এক নেতা সম্প্রতি ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর কথা উল্লেখ করে সেভেন সিস্টার্সকে বিছিন্ন করার হুমকি দেন। সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'যদি বাংলাদেশে অশান্তি হয়, তাহলে প্রতিরোধের আগুন সীমান্তের বাইরেও ছড়িয়ে পড়বে। যেহেতু আপনারা এমন অনেককে আশ্রয় দিচ্ছেন যারা আমাদের শত্রু, তাই আমরাও সেভেন সিস্টার্সের বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরও আশ্রয় দেব।' ভারতের নাম না করলেও ওই নেতার লক্ষ্য যে ভারতই তা বুঝতে অসুবিধে হয় না। 

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ইনকিলাব মঞ্চের একজন নেতা এবং হাসিনার সমর্থক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার চেষ্টার পর একটি সমাবেশ হয়। সেই সংগঠনের অভিযোগ, ভারত এবং আওয়ামী লিগ এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

গত বছরের অগাস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতেই রয়েছেন শেখ হাসিনা। তা নিয়ে খুশি নয় বাংলাদেশ সরকার। সামনের নির্বাচনেও হাসিনার আওয়ামি লিগ অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে সেই দেশের নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সময়কালে বাংলাদেশের সঙ্গে  পাকিস্তানের সখ্যতা বেড়েছে। 
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement