জাকির নায়েকের বাংলাদেশে ঢোকা বন্ধ পাকিস্তানের পথ অনুসরণ করে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে মহম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশ। তা দৃশ্যতই। কিন্তু বেড়ে খেলতে গিয়ে, ধাক্কা খেল ঢাকা! ভারত থেকে পলাতক মুসলিম ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর হঠাত্ বাতিল। জাকিরকে এখনই বাংলাদেশে ঢুকতে দিচ্ছেন না ইউনূস। তবে এই সিদ্ধান্ত আপাতত। স্থায়ী সিদ্ধান্ত নয়। এখন প্রশ্ন উঠছে, হঠাত্ কোন চাপে জাকির নায়েকের বাংলাদেশ প্রবেশ স্থগিত করে দিলেন ইউনূস?
বলা হচ্ছে, আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন হতে পারে
এমনিতে অবশ্য বাংলাদেশের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠক করেছে মঙ্গলবার। সেই বৈঠকে জাকির নায়েকের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন হতে পারে। জাকির নায়েকের নাকি বাংলাদেশে এতটাই জনপ্রিয়তা যে, ব্যাপক ভিড় হবে তাঁকে দেখতে ও তাঁর কথা শুনতে। সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে প্রচুর পুলিশ অফিসার ও নিরাপত্তরক্ষী প্রয়োজন। এই মুহূর্তে পুরো ফোকাস রয়েছে জাতীয় নির্বাচনের দিকে। তাই জাকির নায়েকের এত নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন।
ভারত ছাড়া বাংলাদেশের গতি নেই
কিন্তু শাক দিয়ে তো মাছ ঢাকা যায় না! ভারতে সন্ত্রাসে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়া জাকিরের সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ হল আন্তর্জাতিক চাপ। আর সেই চাপের অন্যতম হল ভারত। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারত এই মুহূর্তে কার্যত চালকের আসনে রয়েছে। বিশ্বের তাবড় অর্থনীতিগুলির মধ্যে অন্যতম। আর ভারত ছাড়া বাংলাদেশের গতি নেই। যতই পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াক, ঢাকা জানে, তাদেরই মতো বা তাদের থেকেও কাঙাল অবস্থা পাকিস্তানের।
ঢাকায় ২০১৬ সালে হোলি আর্টিসন বেকারিতে জঙ্গি হামলাতেও জাকিরের উস্কানি ছিল। ভারত এই তথাকথিত ইসলাম ধর্ম প্রচারককে অনেক আগেই জঙ্গি চিহ্নিত করেছে। ভারত থেকে পালিয়ে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন জাকির মালিক। ঢাকা সফরে গেলে, এটাই হত জাকিরের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
বাংলাদেশে জাকির নায়েকের ‘পিস টিভি’ সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল
শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকার হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশে জাকির নায়েকের ‘পিস টিভি’ সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই হামলায় ‘নিও জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ’ জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত থাকার দাবি করেছিল প্রশাসন। ঘটনায় প্রাণ হারান ২২ জন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন এক ভারতীয় তরুণীও। বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তান সফরের পর জাকির নায়েককে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানোয় উদ্বিগ্ন ছিল ভারত। পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে জাকিরের উপস্থিতি, যা সাধারণত কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জন্য সংরক্ষিত, তখনই বিতর্ক শুরু হয়। সেই সফরে নায়েককে লস্কর ই তৈবা (LeT) জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিল সংগঠনের কমান্ডার মুজাম্মিল ইকবাল হাশমিও।