Bangladesh Khagrachhari violence: দুর্গাপুজোর মধ্যেই বাংলাদেশে কিশোরীকে গণধর্ষণ, প্রতিবাদসভায় গুলিচালনায় মৃত ৩

দুর্গাপুজোর সময়েই ফের অশান্ত বাংলাদেশ। রবিবার খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় আন্দোলনের মিছিলে গুলিচালনার ঘটনায় প্রাণ গেল তিন জনের। জখম আরও চার। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার দুপুরে গুইমারার আদিবাসী সম্প্রদায়ের একাংশ বিক্ষোভে নেমেছিল।

Advertisement
দুর্গাপুজোর মধ্যেই বাংলাদেশে কিশোরীকে গণধর্ষণ, প্রতিবাদসভায় গুলিচালনায় মৃত ৩পুজোর মধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতি বাংলাদেশে।
হাইলাইটস
  • রবিবার খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় আন্দোলনের মিছিলে গুলিচালনার ঘটনায় প্রাণ গেল তিন জনের।
  • রবিবার দুপুরে গুইমারার আদিবাসী সম্প্রদায়ের একাংশ বিক্ষোভে নেমেছিল।
  • অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিলেন তাঁরা।

দুর্গাপুজোর সময়েই ফের অশান্ত বাংলাদেশ। রবিবার খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় আন্দোলনের মিছিলে গুলিচালনার ঘটনায় প্রাণ গেল তিন জনের। জখম আরও চার। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার দুপুরে গুইমারার আদিবাসী সম্প্রদায়ের একাংশ বিক্ষোভে নেমেছিল। অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিলেন তাঁরা। সেই সময়েই হঠাৎ আন্দোলন অশান্ত হয়ে যায় বলে দাবি প্রশাসনের।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ জানান, নিহতদের দেহ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্ত হবে। তবে মৃতদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

লুটপাট-অগ্নিসংযোগে আতঙ্কের পরিবেশ
গুলি চালনার ঘটনার পর থেকেই পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হয়। গুইমারার রামেসু বাজারে আদিবাসীদের বহু দোকান লুট হয়। একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মোটরবাইকও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার ছবি ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুরোটা জানান প্রত্যক্ষদর্শী মংসাজাই মারমা ও কংজারী মারমা। তাঁদের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করা হচ্ছিল। হঠাৎ নিরাপত্তা বাহিনী এসে অশান্তি শুরু করে বলে দাবি তাঁদের। আর তারপরেই গুলি চলতে শুরু করে বলে দাবি আদিবাসীদের একাংশের।

সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিবৃতি
এদিকে সেনা ও পুলিশ-প্রশাসনের অভিযোগ, ইউপিডিএফ (মেইন) এবং তাদের সহযোগী গোষ্ঠীই রামেসু বাজারে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে। সকাল থেকেই পরিবেশ অশান্ত ছিল। পরিস্থিতি সামলাতে সেনা হস্তক্ষেপ করে। সেনাবাহিনীর দাবি, সেই সময়েই অস্ত্রধারীরা পাহাড় থেকে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে গুলি চালায়। এতে প্রায় ১০ সেনা আহত হন। এরপরেই পাল্টা পদক্ষেপ নেন জওয়ানরা।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, 'দুষ্কৃতীদের' হামলায় তিন জন নিহত হয়েছেন। আহত ১৩ সেনা, তিন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তদন্তে দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

জুম্মা ছাত্র জনতার নতুন কর্মসূচি
অন্যদিকে স্থানীয় সংগঠন জুম্মা ছাত্র জনতার অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরেই গ্রামে লাগাতার সেনার তল্লাশি, গ্রেফতার ও হেনস্থা চলছে। সেই কারণেই এলাকায় অস্থিরতা বাড়ছে বলে দাবি তাঁদের। সংগঠনের ঘোষণায় বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলবে।

Advertisement

বাংলাদেশের এই এলাকাগুলি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। তবে অশান্ত পরিবেশের কারণে আপাতত সমস্ত পর্যটন কর্মসূচিও বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছে সংগঠন। ধর্ষণ মামলার সব অভিযুক্তের দ্রুত গ্রেফতার, পরিবারদের ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসার দাবি তুলছেন তাঁরা।

আপাতক গুইমারার বিস্তীর্ণ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এলাকায় অতিরিক্ত সেনা ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় রীতিমতো থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। 

POST A COMMENT
Advertisement