Khaleda Zia : হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর খালেদা জিয়াকে মুক্তির নির্দেশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির

প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে এসেছেন শেখ হাসিনা। তারপরই বড় ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ শাহাবুদ্দিন।

Advertisement
হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর খালেদা জিয়াকে মুক্তির নির্দেশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির Khaleda Zia
হাইলাইটস
  • প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে এসেছেন শেখ হাসিনা
  • তারপরই বড় ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের

প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে এসেছেন শেখ হাসিনা। তারপরই বড় ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ শাহাবুদ্দিন। তিনি বাংলাদেশের বিরোধী দলনেত্রী খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। 

জেলবন্দি খালেদাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন শাহাবুদ্দিন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, শাহাবুদ্দিন 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'

খালেদা জিয়া প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রধান এবং শেখ হাসিনার কট্টর প্রতিপক্ষ। তিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও। 

প্রসঙ্গত, আজ  সোমবার সকালেই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন। তিনি বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন কব্জা করে নেয় আন্দোলনকারীরা। সেখানে লুটপাট চালায় তারা। রবিবার থেকে নতুন করে আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। একশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এরপর সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তারপরই হাসিনা দেশ ছাড়েন। সূত্রের খবর, হাসিনাকে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় দেয় সেনা। বাংলাদেশের নাগরিকদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে চাইলেও তাঁকে তা দিতে দেওয়া হয়নি। 

সকাল থেকেই বাংলাদেশের একাধিক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। সেই দেশের প্রধান বিচারপতির বাড়িতেও হামলা করে বিক্ষুব্ধরা। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। সূত্রের খবর, বাংলাদেশে অবাধে দুষ্কৃতীরাজ চলছে। পুলিশের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশের কোনও কোনও জায়গায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তবে তা সংখ্যায় কম। 

বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা পালিয়ে এলেও সেই দেশে এখনও শান্তি ফেরার নাম নেই। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, সেখানে আওয়ামি লিগ নেতাদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। ঝিনাইদহে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজন নিহত হন।

বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতরেও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। সন্ধেবেলা বিপুল সংখ্যক হামলাকারী পুলিশের সদর দফতর আটক করে ও ভাঙচুর চালায়। পুলিশকর্মীরা ভিতরে থাকলেও তারা কোনওরকমে প্রাণে বাঁচেন।  

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement