Bangladesh Kolkata Consulate Controversy: ঢাকাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (ড. ইউনুস নেতৃত্বাধীন) এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতা বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে কোরবানি নিষিদ্ধের নির্দেশ দিয়ে তীব্র বিতর্কে জড়িয়ে পড়া কূটনীতিক শাবাব বিন আহমেদ-কে অবশেষে পদচ্যুত করা হয়েছে।
ঈদ-উল-আযহা বা বকরিদের সময় কলকাতা মিশনে গরু ও ছাগল কোরবানি বন্ধে তিনি নির্দেশ জারি করেন। যদিও তিনি তখনও অফিসিয়ালি দায়িত্ব নেননি। জুনের প্রথম সপ্তাহে তার দায়িত্ব নেওয়ার কথা থাকলেও, এর আগেই নির্দেশ পাঠান। কূটনৈতিক নিয়মনীতি অমান্য করে এই নির্দেশে ক্ষুব্ধ হয় মিশনের অন্য কর্মীরা। তারা জানিয়েছেন, ৩০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য ভাঙার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
তিনি এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বলেন, “আমরা বিদেশে দেশের প্রতিনিধিত্ব করি। তাই স্থানীয় রীতি ও পরিবেশের প্রতি আমাদের সম্মান দেখাতে হবে। অন্য কোন বিদেশি বাংলাদেশি মিশনে কোরবানি হয় না।” তবে এই বক্তব্যে কেউই সন্তুষ্ট হননি।
এই নির্দেশের জেরে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার তাকে অবিলম্বে ঢাকায় ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, তিনি আগে নেদারল্যান্ডসের হেগে কর্মরত ছিলেন এবং ২১ নভেম্বর ২০২৪ থেকে কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতের আবেগের কথা মাথায় রেখেই তিনি নাকি এই সিদ্ধান্ত নেন। যদিও ঐতিহ্য অনুসারে প্রতি বছর কলকাতার বাংলাদেশ মিশনে গরু ও ছাগলের কোরবানি দিয়ে স্থানীয় দরিদ্রদের মধ্যে মাংস বিতরণ করা হয়। এমন সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও টানাপোড়েনের মুখে পড়ে। শেখ হাসিনার পতনের পর ইসলামপন্থীদের চাপে থাকা ড. ইউনুস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এমনিতেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের মুখে।