scorecardresearch
 

Bangladesh: 'আমরা শেল্টার দেব...' মমতাকে একুশে জুলাইয়ের সেই মন্তব্য মনে করিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর

মুখ্যমন্ত্রীর 'সদিচ্ছা' নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় বিদেশ মন্ত্রকের উদ্যোগের আর্জি করেন। তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রপুঞ্জের মাধ্যমে সেখানে পিস কিপিং ফোর্স পাঠানো হোক'। তবে এটি যে পুরোটাই বিদেশনীতির মধ্যে পড়ছে, তা আরও একবার উল্লেখ করেন। সেই প্রেক্ষিতেই পাল্টা আক্রমণ করলেন শুভেন্দু।

Advertisement
পাল্টা আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। পাল্টা আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর।

মুখ্যমন্ত্রীর 'সদিচ্ছা' নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় বিদেশ মন্ত্রকের উদ্যোগের আর্জি করেন। তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রপুঞ্জের মাধ্যমে সেখানে পিস কিপিং ফোর্স পাঠানো হোক'। তবে এটি যে পুরোটাই বিদেশনীতির মধ্যে পড়ছে, তা আরও একবার উল্লেখ করেন। সেই প্রেক্ষিতেই পাল্টা আক্রমণ করলেন শুভেন্দু।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করব, তারা যেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মাধ্যমে সেখানে পিস কিপিং ফোর্স পাঠানোর ব্যবস্থা করে... ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া দরকার। এ রাজ্যের মানুষের অনেক আত্মীয় বাংলাদেশে থাকেন। তাঁদের উপর অত্যাচার বন্ধ হোক। এই মঞ্চ থেকে আমাদের সংহতি জানানো উচিত।'

মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার কড়া সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'কিছুদিন আগে বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় হাসিনা সরকার যখন দমনপীড়ন চালাচ্ছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'যাঁরা অত্যাচারিত হবেন তাঁরা এখানে আশ্রয় পাবেন।' তখন তো তিনি পররাষ্ট্রের বিষয় নিয়ে কিছু বলেননি। এখন হিন্দুরা আক্রান্ত হলে কেন কেন্দ্রীয় সরকারের উপর দায়িত্ব চাপাচ্ছেন?"

শুভেন্দু আরও বলেন, 'আজ গোটা বিশ্বজুড়ে হিন্দুরা যখন নির্যাতিত হচ্ছেন, তখন বাংলার মাটিতেও হিন্দুদের ক্ষোভ বাড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলেও এই ইস্যু নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র দায় এড়ানোর জন্য কেন্দ্রের উপর সমস্ত দায়িত্ব চাপানোর চেষ্টা করছেন।'

আরও পড়ুন

২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

২০২৪-এর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে বক্তৃতার একেবারে শেষে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টানেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় বাংলাদেশে ছাত্র-আন্দোলন তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশে যদি পড়াশোনার সূত্রে কেউ গিয়ে থাকেন, কেউ যদি চিকিৎসার জন্য গিয়ে আটকে পড়েন, কোনও রকমের সহযোগিতার দরকার হলে আমরা পাশে আছি।' এরপরেই তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমি কোনও কথা বলব না। ওটা একটা আলাদা দেশ। এ নিয়ে যা বলার কেন্দ্রীয় সরকার বলবে।'

'আমরা নিশ্চয়ই আশ্রয় দেব'

Advertisement

শুধু তাই নয়, 'অসহায় মানুষ'কে বাংলায় আশ্রয় দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখট করেন, আমরা নিশ্চয়ই আশ্রয় দেব। কারণ, এটা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ম। কেউ শরণার্থী হলে পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাঁকে সম্মান দেওয়া হয়। অসমে বোরোদের সঙ্গে এক বার গোলমাল হয়েছিল। আলিপুরদুয়ারে দীর্ঘ দিন ছিলেন শরণার্থীরা। আমিও দেখা করতে গিয়েছিলাম।'

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'বাংলাদেশ নিয়ে কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। কোনও উত্তেজনা যেন তৈরি না হয়। ওখানকার পরিস্থিতির জন্য আমার সহমর্মিতা রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণগুলো চলে যাচ্ছে। আমরা খবর রাখছি।'

২১ জুলাইয়ের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছিলেন? দেখুন ভিডিও:

Advertisement