Meyera Raat Dokhol Koro Movement In Bangladesh: 'বাংলাদেশেও এবার 'মেয়েদের রাত দখল', আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বাঁধনরা

RG Kar Protest In Bangladesh: গর্জে উঠেছে দেশবাসী। এমনকী প্রতিবাদে সরব হয়েছেন প্রবাসীরাও। ৩১ বছর বয়সী মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে সরব সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা। এবার 'রাত দখল' করবে ভারতের পড়শি দেশ।

Advertisement
বাংলাদেশেও এবার 'মেয়েদের রাত দখল', আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বাঁধনরাপ্রতিবাদে সামিল আজমেরী হক বাঁধন

আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ- খুনের ঘটনার জেরে এখনও ধুন্ধুমার শহর- শহরতলি। জেলায় জেলায়- হাসপাতালে বিক্ষোভ চলছে। সুবিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে, প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের কর্মবিরতি চলছে এখনও। গর্জে উঠেছে দেশবাসী। এমনকী প্রতিবাদে সরব হয়েছেন প্রবাসীরাও। ৩১ বছর বয়সী মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে সরব সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা। 

দোষীদের শাস্তির দাবিতে মিছিল চলছে কলকাতা থেকে শুরু শহরতলির রাস্তায়। নৃশংসতার প্রতিবাদে স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে অর্থাৎ ১৪ অগাস্ট কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলা, এমনকী রাজ্যে নেওয়া হয় এক কর্মসূচি। এদিন মধ্যরাতে রাত দখলে পথে নামেন লক্ষ লক্ষ মহিলা ও সাধারণ মানুষ। 'মেয়েরা রাত দখল করো' আন্দোলনে তিলোত্তমার রাজপথে কানায় কানায় ভর্তি ছিল। মধ্যরাতের শহর যেন হয়ে উঠেছিল অষ্টমীর সন্ধ্যার কোনও জনপ্রিয় পুজো প্যান্ডেল। হাজার হাজার মানুষের গলায় শোনা যায়, 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। 

এবার 'রাত দখল' করবে ভারতের পড়শি দেশ। আরজি কর-র মহিলা চিকিৎসকের জন্য 'জাস্টিস' চাইবে বাংলাদেশ। আজমেরী হক বাঁধন (Azmeri Haque Badhon) নিজের সোশ্যাল পেজে শেয়ার করেছেন খবরটি। বাংলাদেশের অভিনেত্রী লেখেন, "গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে পূর্বের প্রতিটি ধর্ষণ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে এবং কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের সংহতিতে- মেয়েরা রাত দখল করো , ১৬ আগস্ট, শুক্রবার, রাত ১০টা (জমায়েত রাত ৯টা থেকে), সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।" এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে সুবিচার চেয়ে এবং অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির কথা লিখেছেন বহু নেটিজেন। 

 

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন আন্দোলনে এর আগেও দেখা গেছে বাঁধনকে। সম্প্রতি বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের পাশে প্রথম থেকেই দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশী অভিনেত্রীকে। আন্দোলনরত ছাত্র আবু সইদের মৃত্যুর পরই বাঁধন সিদ্ধান্ত নেন যে, এবার রাস্তায় নেমে ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এই আন্দোলনে পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলীদের সঙ্গে রাস্তায় ছিলেন বাঁধন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপসারণের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছিল, সেখানেও ছিলেন বাঁধন। কিন্তু  একের পর এক খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। ফেসবুকে সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন পদ্মাপারের নায়িকা।   

 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement