বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের খবরকে 'গুজব' বলে উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। মিথ্যে খবর ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন ইউনূস। মঙ্গলবার তিনি আরও দাবি করেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। জল্পনা শুরু হয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সম্ভাব্য অভ্যুত্থান নিয়ে। এরপরই ইউনূসের এহেন বিবৃতি এসেছে।
ইউনূস বিবৃতিতে বলেন, "আপনারা জানেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক গুজব ছড়ানোর উৎসব চলছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে একের পর এক মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে।"
মিথ্যে খবর ছড়ানো হচ্ছে: ইউনূস
আরও বলেন, "নতুন করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। একটি ছবির সঙ্গে আরেকটি ছবি যুক্ত হচ্ছে। একের পর এক ঘটনা তৈরি হচ্ছে। এ ধরনের ছবির কার্ড তৈরি হচ্ছে এবং অন্য দেশের ঘটনাকে এ দেশের ঘটনা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, তত ভুল খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। আপনারা সবাই জানেন এর পিছনে কারা এবং কেন। এসব গুজব ও মিথ্যা তত্ত্বের বিস্তার বন্ধে আমরা রাষ্ট্রসংঘের সহযোগিতা চেয়েছি। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব এটি মোকাবিলায় তার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।”
অভ্যুত্থান জল্পনা
প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান এবং ছাত্র নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠকের সময় বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকায় সেনাবাহিনীর তৎপরতার পর জল্পনা আরও তীব্র হয়। সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ইউনূসকে অপসারণ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।
ISPR বিভাগ ২৫ মার্চ এই ধরনের দাবি অস্বীকার করে বলেছে, প্রতিবেদনগুলি "মিথ্যে"। ঢাকায় শুক্রবার সকাল থেকে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী টহল জোরদার করেছে। বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট বসিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারণা চলছে। ফ্রান্সে বসবাসকারী বাংলাদেশি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর পিনাকী ভট্টাচার্য চরমপন্থী ও ছাত্রদের সেনাপ্রধানের (সিএএস) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে ভারতের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।