আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেছেন। কমলা হ্যারিস পিছিয়ে পড়েছেন। এখনও চূড়ান্ত ফলাফল সামনে আসেনি। ভোট গণনা চলছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন, তা পরিষ্কার।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে কারও পৌষমাস কারও সর্বনাশ। মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে জল্পনা শুরু হয়েছে। ভারতের প্রতিবেশী দেশ যেমন চিন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ সবাই শুভেচ্ছা জানিয়েছে ট্রাম্পকে। তবে ট্রাম্পের জয়ে সবথেকে বেশি আলোড়িত বাংলাদেশ। আসলে বাংলাদেশে এখন শাসন চলছে অন্তর্বতী সরকারের। গত অগাস্টে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। তিনি বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। সেই থেকে বাংলাদেশে নয়া সরকার চলছে।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে আমেরিকার হাত ছিল বলে মত প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। সেই সময় জো বাইডেন ছিলেন ক্ষমতায়। তবে ট্রাম্পের আগমনে বাংলাদেশ-আমেরিকার সম্পর্ক খুব একটা ভালো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে না। কারণ ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত যখন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল হোয়াইট হাউসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে। ট্রাম্প ওই প্রতিনিধি দলকে মহম্মদ ইউনুস সম্পর্কে প্রশ্ন করে বলেন, 'ঢাকার ওই মাইক্রো ফিনান্সার কোথায়?' ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেছিলেন, 'আমি শুনেছি ও আমাকে নির্বাচনে হারাতে চায়। এ জন্য ফান্ডিংও করেছিল সে।' ইউনুস কাকে টাকা দিয়েছিলেন? ট্রাম্প তখন ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের কথা বলছিলেন। ওই নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন হিলারি ক্লিনটন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের অগাস্টে হিলারি ক্লিনটন যে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সেখানে ছিলেন মহম্মদ ইউনুস।
শোনা যায় মহম্মদ ইউনুস তখন বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রধান। মাইক্রো ফাইন্যান্সে ভালো কাজের জন্য ইউনুস ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কারেও ভূষিত হন। এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মহম্মদ ইউনুস ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে ১ থেকে আড়াই লাখ ডলার দান করেছিলেন।