Yunus Gifts Mangoes To Modi: হঠাত্‍ মোদীকে হাজার কেজি আম পাঠালেন ইউনূস, আম গিফট মমতাকেও, কেন?

প্রতি বছরই ভারতে আসত শেখ হাসিনার পাঠানো আম। বাংলাদেশ থেকে এবারও আম পাঠানো হচ্ছে এ দেশে। পাঠাচ্ছেন মুহাম্মদ ইউনূসও। মোদীকে উপহার দিলেন ১ হাজার কেজি আম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আসছে কোন বাংলাদেশি আম?

Advertisement
হঠাত্‍ মোদীকে হাজার কেজি আম পাঠালেন ইউনূস, আম গিফট মমতাকেও, কেন?মোদী-মমতাকে আম পাঠাচ্ছেন ইউনূস
হাইলাইটস
  • ইউনূস মোদীকে উপহার দিলেন ১ হাজার কেজি আম
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আসছে কোন বাংলাদেশি আম?
  • সেই হাসিনাকেই নকল ইউনূসের

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি বছর নিয়ম করে আম পাঠাতেন বাংলা তথা গোটা দেশে। সৌজন্যের সেই নজির ইউনূস আমলেও দেখা গেল। বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক সাময়িক নড়বড়ে হওয়া সত্ত্বেও মোদী-মমতাকে আম পাঠালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

কাকে কাকে আম পাঠাচ্ছেন ইউনূস?

জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে পাঠানো হাজার কেজি আম সোমবারই নয়াদিল্লিতে পৌঁছবে। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আম পাঠাতে ভোলেনি মুহাম্মদ ইউনূস। ত্রিপুরাতেও আম পাঠাচ্ছেন তিনি।

কী আম আসছে?

বাংলাদেশ দূতাবাসের তরফে জানা গিয়েছে, এবছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাঠানো হচ্ছে বিখ্যাত হাড়িভাঙা আম। রংপুরে এই আম পাওয়া যায়। বিদেশেও এই আম রফতানি করে ঢাকা। এক-একটি হাড়িভাঙা আমের ওজন ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। রসালো, আঁশবিহীন এই আম বাংলাদেশ এবার ভারতের মানুষকে চেখে দেখার জন্য পাঠাচ্ছে।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসে ভারতে আম পাঠাতেন। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির কাছে যেত সেই আম। আসত পশ্চিমবঙ্গেও। কখনও সেই ঝুলিতে থাকত হিমসাগর বা ল্যাংড়া আম, কখনও আবার থাকত সুস্বাদু আম্রপালি।

আম-কূটনীতি

গত বছর থেকে বদলে গিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমীকরণ। জুলাইয়ের আন্দোলনের পর থেকে হাসিনা রয়েছেন নয়াদিল্লিতেই। অভিযোগ, বাংলাদেশে বেড়েছে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন। যা নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আবার হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারতকে চিঠি দিয়েছে ঢাকাও। এই পরিস্থিতিতে আম-সৌজন্য কতটা দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়, সেটাই এখন দেখার।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে ব্যাঙ্ককের বিমস্টেক সম্মেলনে মোদীর সঙ্গে দেখা হয় ইউনূসের। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর মোদীর সঙ্গে এটাই ছিল ইউনূসের প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের কথা ইউনূসকে জানান মোদী। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। জানান, ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবসময় জনগণকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাস করে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, অনুকূল পরিস্থিতিতে ঢাকার সঙ্গে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ইচ্ছুক ভারত। যদিও তারপরও বাংলাদেশে একাধিক সংখ্যালঘুর উপর হামলা, পুজোস্থল ভাঙচুর, ধর্ষণ-খুনের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ফলে এই প্রেক্ষাপটে আম-সৌজন্যের মাধ্যমে নতুন কোনও মোড় আসতে চলেছে কি?

Advertisement

ব্যবসায়ী খুন

এদিকে বাংলাদেশে ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগের মৃত্যু ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। চাপ বাড়ছে মহম্মদ ইউনূসের প্রশাসনের উপর। সেই দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরর ক্ষোভের মুখে পুলিশ। তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্তর্বতীকালীন সরকার হিংসা দমনে ব্যর্থ, এমনই অভিযোগ করছেন সেখানকার পড়ুয়ারা। পুরনো ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। সে আবহে ভারতকে আম গিফট করা বাংলাদেশের দ্বিচারিতা বলেই উল্লেখ করছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মহল।

POST A COMMENT
Advertisement