
বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই কট্টরপন্থী জামাতের 'পৌষ মাস' শুরু হয়ে যায়। অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার যে উগ্রপন্থী জামাত ই ইসলামি সহ এই ধরনের নানা সংগঠনের বন্ধু, তা বারবার প্রমাণ হয়েছে। হিন্দুদের উপর অকথ্য অত্যাচার, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এহেন ইউনূস এবার সব সীমা পার করলেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক সাধারণ সভা (United Nations General Assembly 2025)য় একপাল কট্টরবন্থী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে গেলেন ইউনূস। যা ঘিরে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক। ইউনূস যে রাজনৈতিক বাবে কতটা 'পঙ্গু' তা বুঝিয়ে দিলেন বিশ্বকে।
বিরাট বহর নিয়ে ইউনূস পৌঁছেছেন নিউ ইয়র্কে
বর্তমানে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে রয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন ১০৪ জন। এদিকে সফর সংক্রান্ত নথি বলছে, সংখ্যাটা ৬২। সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হল, বাংলাদেশের তিনটি রাজনৈতিক দলের ৬ জন নেতাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে জামাত ই ইসলামিও রয়েছে। এছাড়া বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP) রয়েছে। বিরাট বহর নিয়ে ইউনূস পৌঁছেছেন নিউ ইয়র্কে। ফলে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) বিভিন্ন মহল এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাংলাদেশে ভোটের আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন ইউনূসের এই রাজনৈতিক নোংরামির খেলা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা শুরু হয়েছে।
গতবার ভন্ডামি ছিল, তা এবার প্রকাশ পেয়ে গেল
গতবছর অর্থাত্ ২০২৪ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে ৫৭ জন প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়েছিলেন ইউনূস। তখন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টার দাবি ছিল, সরকার খরচ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন খাতে খরচ কমিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য। তাহলে এ বছর কী হল? খরচ কমানোর সেই দাবি কি তাহলে ভন্ডামি বা লোক দেখানো ছিল? যেহেতু নতুন সরকারে এসেছিলেন সে বার?
নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে হেনস্থার মুখে
এদিকে এত বিরাট সংখ্যায় প্রতিনিধি নিয়ে যাওয়ায় নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে হেনস্থার মুখেও পড়তে হয়েছে ইউনূসের দলকে। লজ্জা নেই! বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, প্রথমে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। পরে মাঝপথে শীর্ষ নেতার সফরের কাজে যুক্ত হন। বিবিসি খবর অনুযায়ী, এবার প্রধান উপদেষ্টার সফরের জন্য কাঠমান্ডু থেকে দুই সপ্তাহের জন্য নিউ ইয়র্কে গিয়েছেন শোয়েব আব্দুল্লাহ। এই কূটনীতিক এ বছরের শুরুতে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি হয়েছেন।
বিবিসি র খবর অনুযায়ী, রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে পুস্তিকা অনুযায়ী সফরসঙ্গীর সংখ্যা ৬২। সরকারি নথি অনুযায়ী এই সংখ্যা ১০৪। এরমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর তালিকায় শুধুমাত্র নিরাপত্তা কর্মকর্তাই রয়েছেন ১৯ জন ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ৪৭ জন। অর্থাত্ ব্যয় সঙ্কোচের যে ভন্ডামি ২০২৪ সালে ছিল, ২০২৫ সালে তা গায়েব।