'জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণ কর্মসূচির' উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন প্রধান মহম্মদ ইউনূস। স্বৈরাচারী শাসনের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্যই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, জানালেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। সেখানে মহম্মদ ইউনূস বলেন, 'আমরা প্রতি বছর এই জুলাই অভ্যুত্থান পালন করব। আর একটি অভ্য়ুত্থানের জন্য যাতে অপেক্ষা করতে না হয় সেজন্য এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এই অভ্যুত্থানের জন্য ১৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। প্রতি বছর এই অনুষ্ঠান হবে। যেন কোনও স্বৈরাচারী মাথা তুলে দাঁড়ালে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে পারি।'
মহম্মদ ইউনূস আরও জানান, গত বছরের জুলাই ও অগাস্ট আন্দোলনের ফলে অনেক শ্রমিক, ছাত্র, সাধারণ মানুষ শহিদ হয়েছিলেন। তাঁদের স্মরণ করা হবে এই দিনগুলোতে। তাঁর কথায়, 'আমরা প্রতি বছর এই কর্মসূচি পালন করব। যাতে স্বৈরাচার আর কোনওদিন মাথা তুলতে না পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল, জনগণকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, রাজনীতির প্রতি দায়বদ্ধতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া।'
২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনের জেরে বিপদে পড়ে শেখ হাসিনার সরকার। একাধিক জেলায় আন্দোলন প্রবল আকার ধারণ করে। সহিংস হয়ে ওঠে ছাত্র-যুবরা। এই আন্দোলন শুরু করেছিল স্টুডেন্টস এগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন নামে একটি সংস্থা। পুলিশ ও সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয় বলেও অভিযোগ। অগাস্ট মাস আসতে আসতে সেই আন্দোলন আরও ব্যাপক আকার নেয়। ৫ অগাস্ট হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয় নোবেলজয়ী ইউনূসকে।