বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙতে দেখা গিয়েছে। এবার মুজিবকে মুছে ফেলার পথে আরও একধাপ এগোল ইউনূস সরকার। বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। রবিবারও দরবার হলে নতুন ৩ উপদেষ্টার শপথ গ্রহণের সময় ছবিটি ছিলো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফাইড প্রোফাইল থেকে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ অগাস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। গত রবিবার অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন তিন উপদেষ্টা বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ পাঠ করেন। এ সময় তাদের পেছনের দেওয়ালে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল। এ নিয়ে প্রতিবাদ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান অনেকে। এরপরেই বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হলো।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লিগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসেন ভারতে। এরপর বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়। বিভিন্ন অফিস থেকে নামিয়ে ফেলা হয় শেখ হাসিনার ছবি।
এদিকে এবার বাংলাদেশে উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে চারজন লেখকের লেখা বাদ পড়ছে। তার মধ্যে রয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান ও মহম্মদ জাফর ইকবাল। ভাষা আন্দোলন নিয়ে মুজিবের রচনা ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ আগামী বছর আর পাঠ্যবইয়ে থাকছে না। এছাড়াও, তিনজনের কবিতা ও গল্প পরিবর্তন এবং পাঁচজন লেখকের রচনার অনুশীলনী পরিমার্জন করারও প্রস্তাব রয়েছে। পাশাপাশি, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে নতুন বিষয় হিসেবে যুক্ত হচ্ছে আরবি ভাষা। জানা গিয়েছে, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে আরবি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়েও পাঠ্যপুস্তকে কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে, শিক্ষা দফতরের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের দাবি অনুযায়ী যা ‘মামুলি’।