scorecardresearch
 

Hilsa Export: পুজো মিটতেই ইলিশ রফতানি বন্ধ, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কত মাছ এল রাজ্যে?

দুর্গাপুজো উপলক্ষে ভারতে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক। তবে ইলিশের সংকট এবং দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে চাহিদা অনুযায়ী রফতানি করা যায়নি। শনিবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত ১৭ দিনে বাংলাদেশে থেকে ভারতে এসেছে সর্বমোট ৫৩৩ টন ইলিশ। এবার বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া রফতানি আদেশের মাত্র ২২ ভাগ ইলিশ ভারতে এসেছে । সময় স্বল্পতা, বাজারে ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রফতানি করতে পারেননি। শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে।

Advertisement
১৭ দিন ধরে ভারতে রফতানি হয় ইলিশ ১৭ দিন ধরে ভারতে রফতানি হয় ইলিশ

দুর্গাপুজো  উপলক্ষে ভারতে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রফতানির  অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক। তবে ইলিশের সংকট এবং দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে চাহিদা অনুযায়ী রফতানি করা যায়নি। শনিবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত ১৭ দিনে বাংলাদেশে থেকে ভারতে এসেছে সর্বমোট ৫৩৩ টন ইলিশ। এবার বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া রফতানি  আদেশের মাত্র ২২ ভাগ ইলিশ ভারতে এসেছে । সময় স্বল্পতা, বাজারে ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রফতানি করতে পারেননি। শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের আওতাধীন সংস্থা আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতর জানায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ রফতানিকারককে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি হয়েছে ভারতে। যার মূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৬৩ কোটি ৯৬ লাখ।

এ বছর ৭০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ গড়ে ১০ মার্কিন ডলারে রফতানি হয়েছে ভারতে, যা বাংলাদেশের ১ হাজার ১৮০ টাকার মতো। বাংলাদেশের বাজারে অবশ্য আরও অনেক বেশি দামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, প্রথমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পরে বিদেশে ইলিশ রফতানি হবে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্তে অনড় থাকেনি সরকার। দেড় মাসের মাথায় ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতে ইলিশ রফতানি শুরু হয়। গত বছর ইলিশ রফতানির অনুমতি ছিল ৩ হাজার ৯০০ টন। রফতানি  হয়েছিল মাত্র ৬৬৩ টন। এ বছর ভারতে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে অনুমোদিত পরিমাণের ইলিশ পাঠাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন

Advertisement

বেনাপোল স্থলবন্দর মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর আসাওয়াদুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, পুজোর ছুটির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রফতানি চালু ছিল। আজ শেষ দিনে ৩৬ টনের মতো ইলিশ ভারতে রফতানি হতে পারে। বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯–২০ অর্থবছরে ৪৭৬ টন ইলিশ ভারতে রফতানি  হয়। ২০২০–২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৯৯ টন ইলিশ রফতানি হয়। অন্যদিকে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ২৩০ টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৯১ টন ইলিশ রফতানি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮০২ টন ইলিশ ভারতে রফতানি করা হয়। সে হিসাবে ৫ বছরে মাত্র ৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ রফতানি  হয় ভারতে। এদিকে, শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরা, মজুত বা সংরক্ষণ এবং বিপণন সবই বাংলাদেশে  নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
 

Advertisement