 ঢাকায় পাক আইএসআই সেল -- গ্রাফিক্স: সৌমিক মজুমদার
ঢাকায় পাক আইএসআই সেল -- গ্রাফিক্স: সৌমিক মজুমদারপাকিস্তানের সঙ্গে যে বাংলাদেশের দোস্তি এখন একেবারে তুঙ্গে, তা সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাতেই স্পষ্ট। পাকিস্তানের জঙ্গিনেতারা এখন অবাধে বাংলাদেশে ঘুরছে, উস্কানিমূলক ভাষণও দিচ্ছে। জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ। এবার দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা (জঙ্গিদের ট্রেনিং দেয় এই সংস্থা) ISI-এর জন্যও দরজা খুলে দিল মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকায় হাই কমিশনেই ISIএর জন্যও একটি স্পেশাল সেল খোলা হচ্ছে। অর্থাত্ পাকিস্তানের মতোই জঙ্গি-দেশে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ।
এবারে ISI ঢুকে পড়ল ঢাকায়
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক আদানপ্রদান ব্যাপক হারে বাড়ছে। ২০২৪ সালের অগাস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ইসলামাবাদ ও ঢাকার বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠ হওয়া শুরু হয়ে যায়। যার নির্যাস, পাকিস্তানও জঙ্গিদের পাঠাচ্ছে বাংলাদেশে। যারা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে ছক কষছে। এবারে ISI ঢুকে পড়ল ঢাকায়। শুধু ঢুকলই না, একেবারে পৃথক সেল।
হাইকমিশনে একাধিক গোয়েন্দা আধিকারিক মোতায়েনের অনুমতি
CNN-News18 এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি ৪ দিনের ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে CJCSC জেনারেল শাহির সমশদ মির্জা। পাকিস্তানের বায়ুসেনা ও নৌসেনার প্রতিনিধি হিসেবে। তাঁরা বাংলাদেশ জাতীয় নিরাপত্তা ইন্টেলিজেন্স ও ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের সঙ্গে একাধিক মিটিং করে। উভয় দেশই সম্মত হয়েছে যৌথ গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে, যার মূল লক্ষ্য হবে বঙ্গোপসাগর ও ভারতের পূর্ব সীমান্তের আকাশপথের নজরদারি। এই চুক্তির অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ঢাকায় তাদের হাইকমিশনে একাধিক গোয়েন্দা আধিকারিক মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছে।
বাংলাদেশকে পরমাণু মিসাইলের লোভ দেখিয়ে ভারত বিরোধী চক্রান্ত
পাকিস্তানের সেনা আধিকারিকের সঙ্গে আরও ৮ জন গিয়েছিলেন ঢাকায়। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে, বাংলাদেশে পাকিস্তানকে অবাধে সামরিক কার্যকলাপ চালাতে দিতে হবে। পরিবর্তে বাংলাদেশকে পাকিস্তান মিলিটারি ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে। পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান JF-17 Thunder ব্যবহারের আগ্রহ দেখিয়েছে ঢাকা। ফতেহ সিরিজের মিসাইলেও লোভ রয়েছে বাংলাদেশের। মোদ্দা বিষয়, বাংলাদেশকে পরমাণু মিসাইলের লোভ দেখিয়ে ভারত বিরোধী চক্রান্তের জন্য বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করতে মরিয়া পাকিস্তান।
ভারতের জন্য কেন উদ্বেগের বিষয়?
বাংলাদেশের রাজধানীতেই যদি ISI সেল থাকে, তা ভারতের কাছে নিঃসন্দেহে এক উদ্বেগজনক ঘটনা। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে পাকিস্তানের গোয়েন্দা আধিকারিকদের উপস্থিতি ভারতের পূর্ব সীমান্তকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। এতে গুপ্তচরবৃত্তি, নাশকতা এবং সীমান্তপারের সন্ত্রাসে অর্থ জোগানের আশঙ্কা বাড়ছে। ইসলামাবাদকে বঙ্গোপসাগর এলাকায় এক ধরনের কৌশলগত ভিত গড়ে দিতে পারে। এর ফলে পাকিস্তান নৌ ও আকাশ নজরদারির সংবেদনশীল তথ্যের নাগাল পেতে পারে, যার জেরে ভারতের পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা কাঠামোকে দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা।
ভারতের কাছে আরও চিন্তার বিষয়, এতদিন শেখ হাসিনার সরকারকে দিল্লি চরমপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ হিসেবে দেখত। কিন্তু মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের আমলে এই পরিবর্তন ভারতের কৌশলগত ভারসাম্যের ক্ষেত্রে এক বড় ধাক্কা।