নেপালে অন্তর্বতী সরকার ঘোষণা করেছে, আগামী ৬ মাসের মধ্যে সেদেশে নির্বাচন হবে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরকার গঠন করবেন। অথচ বাংলাদেশে এখনও ভোট হয়নি। ২০২৪ সালের অগাস্টের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে সেই দেশে ক্ষমতায় বসে রয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। নির্বাচন করতে এতটা সময় কেন লাগছে? সেই প্রশ্ন করা হল ইউনূস জানালেন, বাংলাদেশের অনেকেই চান অন্তর্বতী সরকার যেন ক্ষমতায় থাকে। তাঁর আরও দাবি, যেহেতু অন্তর্বতী সরকারকে কেউ নিয়োগ করেনি তাই তাঁদের মেয়াদ কতদিন সেটা নিজেরাই ঠিক করবেন। ইউনূসের এই মন্তব্য সামনে আসার পর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, ইউনূস যে ক্ষমতা থেকে যেতে চান না সেটাই প্রমাণ করল এই মন্তব্য।
সম্প্রতি ব্রিটিশ আমেরিকান সাংবাদিক মেহেদি হাসানকে সাক্ষাৎকার দেন মহম্মদ ইউনূস। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় কেন বাংলাদেশে নির্বাচন করতে ১৮ মাস সময় লাগছে? উত্তরে বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান বলেন, 'এমন মানুষও আছে, যারা বলছে ৫ বছর থাকুন, ১০ বছর থাকুন, ৫০ বছর থাকুন। সুতরাং মানুষ সব ধরনের কথা বলছে। আপনি থাকুন, নির্বাচন কেন? কার নির্বাচন দরকার?'
ইউনূসকে সেই সাংবাদিক ফের প্রশ্ন করেন কেন এত সময় লাগছে ভোট করাতে? উত্তরে তিনি জানান, তাঁদের সরকার অন্তর্বতীকালীন। সেই কারণে তাঁরা যতদিন ইচ্ছে ক্ষমতায় থাকতে পারেন। তাঁদের মেয়াদ কেউ নির্ধারণ করে দেয়নি। তবে দেশে সংস্কার দরকার। সংস্কার ছাড়া কোনও সরকার ক্ষমতায় চলে এলে ফের আগের মতো অরাজকতা হতে পারে। সেজন্য তিনি আগে ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে চান।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছেড়ে দেওয়ার পর সেখানে প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন মহম্মদ ইউনূস। তিনি সেই থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকতে নির্বাচন করতে চাইছেন না ইউনূস। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি একাধিকবার। কিছুদিন আগে জানিয়েছেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগেই ভোট করাবেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে।