Protesters March Dhaka: ঢাকায় 'অ্যান্টি ইন্ডিয়া' স্লোগান-মিছিল, বাংলাদেশিদের ঢোকা বন্ধ করল দিল্লিও, ঠিক কী চলছে?

বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের দিকে মিছিল করছিল বিরাট সংখ্যক বিক্ষোভকারী। তবে সেখানে পৌঁছে যাওয়ার আগেই বুধবার এই বিক্ষোভরত জনতাকে পুলিশ আটকে দেয়। আর এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় হাই কমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।

Advertisement
ঢাকায় 'অ্যান্টি ইন্ডিয়া' স্লোগান-মিছিল, বাংলাদেশিদের ঢোকা বন্ধ করল দিল্লিও, ঠিক কী চলছে?ঢাকায় ভারত বিরোধী মিছিল
হাইলাইটস
  • বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের দিকে মিছিল করছিল বিরাট সংখ্যক বিক্ষোভকারী
  • সেখানে পৌঁছে যাওয়ার আগেই বুধবার এই বিক্ষোভরত জনতাকে পুলিশ আটকে দেয়
  • এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় হাই কমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি

বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের দিকে মিছিল করছিল বিরাট সংখ্যক বিক্ষোভকারী। তবে সেখানে পৌঁছে যাওয়ার আগেই বুধবার এই বিক্ষোভরত জনতাকে পুলিশ আটকে দেয়। আর এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় হাই কমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।

প্রসঙ্গত, ঢাকা ট্রিবিউনের তরফে জানা গিয়েছে, মিছিলটির নেতৃত্বে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটরি এবি জুবায়ের।

কী হয়েছে?

এই বিক্ষোভ মিছিল মূলত ছিল ভারত বিরোধী। মিছিলটি ‘জুলাই ঐক্য’ ব্যানারে করা হয়েছে। এখানে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়। পাশাপাশি সেই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের দাবিও জানায়। এছাড়াও তাদের পক্ষ থেকে একাধিক বিষয়ে আওয়াজ তোলা হয়।

এই বিক্ষোভ মিছিল সম্পর্কে বাংলাদেশ পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, বুধবার বিকেলে রামপুরা ব্রিজ থেকে শুরু হয় মিছিল। এই মিছিলটির গন্তব্য ছিল ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন। তবে উত্তর বাড্ডার হোসেন মার্কেটের সামনেই মিছিলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। এটি এম্বাসি অঞ্চল। যার ফলে এই অঞ্চলের মূল রাস্তা দিয়ে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল বলেই জানা গিয়েছে।

ব্যারিকেড দেওয়া হয়

এমনটা যে হতে চলেছে, সেটা আগেভাগেই বাংলাদেশ প্রশাসন জানত। তারপরও তারা মিছিলটি হতে দেয়। শেষে গিয়ে আটকায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয় হাই কমিশনের দিকে। আর ঠিক তখনই পুলিশ ব্যারিকেড গড়ে তোলে। যদিও এই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে বিক্ষোভরত জনতা। কিন্তু পরের ব্যারিকেডে তারা আটকে যায়।

আর এমন পরিস্থিতিতে সেখানে ভারতবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। পাশাপাশি শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবিও জোরালভাবে তুলে ধরা হয়।

বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ইউএনবি-এর তরফে জানা গিয়েছে, সেই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন বলেন, 'আমরা ভয় পাই না। ভারতীয় হাইকমিশনেও হামলা করব না। কিন্তু বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য বজায় রাখাও চলবে না। এমনটা করল ছাড় দেওয়া হবে না।'

Advertisement

আর কী অভিযোগ?

বিক্ষোভকারীরা মনে করে যে বাংলাদেশের মধ্যে ভারতের কিছু সঙ্গী রয়েছে। তারা ভারতের মদতপুষ্ট। সেই সকল রাজনৈতিক দল, মিডিয়া ও সরকারি কর্মকর্তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করছে। তাই তারা স্লোগান তোলে, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’। ‘আমার ভাই হাদি—হাদিকে কেন মরতে হল’।

এই প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার নূর-এ-আলম সিদ্দিকি জানান, এমবাসি এলাকার নিরাপত্তা জোরদার কর হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ইউনিট মোতায়েন করাও হয়েছে।

ভারত কী করছে? 

হাই কমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উগ্বিগ্ন দিল্লি। তারা এই বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে মহম্মদ ইউনূস প্রশাসনকে। পাশাপাশি দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে। সেই সঙ্গে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রও বন্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে পাল্টা দিতে শুরু করল ভারত। 

POST A COMMENT
Advertisement