Bangladesh Violence: ভারত বিরোধী হাদির মৃত্যুতে জ্বলছে বাংলাদেশ, মিডিয়া অফিসে আগুন, ভাঙচুর ভারতীয় দূতাবাসেও

ভারত বিরোধী নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুতে বাংলাদেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। উত্তপ্ত ঢাকা। জ্বালিয়ে দেওয়া হল মিডিয়ার অফিস। ভাঙচুর করা হল ভারতীয় দূতাবাসেও।

Advertisement
ভারত বিরোধী হাদির মৃত্যুতে জ্বলছে বাংলাদেশ, মিডিয়া অফিসে আগুন, ভাঙচুর ভারতীয় দূতাবাসেওজ্বলছে বাংলাদেশ
হাইলাইটস
  • ভারত বিরোধী নেতা ওসমান হাদির মৃত্যু
  • জ্বালিয়ে দেওয়া হল মিডিয়া অফিস
  • ভাঙচুর ভারতীয় দূতাবাস, আওয়ামী লিগের অফিস

ফের জ্বলছে বাংলাদেশ। উত্তপ্ত রাজধানী শহর ঢাকা। চরমপন্থী তথা ভারত বিরোধী নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে হাজার হাজার মানুষ নেমেছে শাহবাগের রাস্তায়। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান দিতে দিতে প্রতিবাদীদের বিক্ষোভ। কেন রাষ্ট্র হাদিকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হল, প্রশ্ন তুলছে তারা। বিক্ষোভ এতটাই চরমে ওঠে, 'প্রথম আলো' এবং 'ডেইলি স্টার' নামে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দু'টি সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাজশাহীতে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন এবং আওয়ামী লিগের একটি অফিসেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, 'প্রথম আলো' এবং 'ডেইলি স্টার' সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানোর জেরে বহু মানুষ আটকে পড়েন। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর অনুযায়ী, সেনা এবং আধাসেনা মোতায়েন করা হয়। উদ্ধার করা হয় সংবাদকর্মীদের। যদিও বিক্ষোভকারীদের হটাতে কোনও ভূমিকা পালন করেনি ফোর্স। দমকলকর্মীদের জন্য জায়গা করে দিতে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে সরে যাওয়ার আর্জি জানানো হয় কেবলমাত্র। 

এখানেই থেমে থাকেনি বিক্ষোভকারীরা। চট্টগ্রামে ভারতীয় দূতাবাসেও পাথর ছোড়া হয়, ভাঙচুর চালানো হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ খুলসি এলাকায় জড়ো হয় তারা। আওয়ামী লিগ এবং ভারত বিরোধী স্লোগান শুরু হয়। 

জুলাই আন্দোলনের প্রথমসারির নেতা এবং 'ইনকালাব মঞ্চ'-এর আহ্বায়ক ছিল এই ওসমান হাদি। সপ্তাহখানেক আগে গুলিবিদ্ধ হয় সে। এরপর বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় তাঁর। ভারত এবং আওয়ামী লিগকেই এই মৃত্যুর জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে বিক্ষোভকারীরা। 

বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাদির। গত ১২ ডিসেম্বর থেকে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। ঢাকায় বিজয়নগর এলাকায় বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে তাকে গুলি করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। এরপর তাকে এয়ারলিফ্ট করে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। 

অশান্ত পরিবেশের মাঝেই বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার জাতীয় শোকের ঘোষণা করেছেন হাদির মৃত্যুতে। দেশের মসজিদগুলিতে তার স্মৃতিতে বিশেষ প্রার্থনারও আয়োজন করেছেন। ঘটনাকে 'নৃশংস হত্যাকাণ্ড' আখ্যা দিয়ে দোষীদের যথাযথা শাস্তির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ইউনূস। তাঁর কথায়, 'পরাজিত ফ্যাসিবাদী ও সন্ত্রাসবাদী শক্তির শত্রু ছিলেন হাদি। তার কণ্ঠ যারা রুদ্ধ করল তাদের আমরা আবার হারাব। প্রতিবাদীদের ছাড়া ভীত করতে চেয়েছে, তাদের ছাড়া হবে না।' হাদিকে শহিদ আখ্যাও দিয়েছেন তিনি। 

Advertisement

রাত যত বেড়েছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার ততই অবনতি হয়েছে। ঢাকার পরিস্থিতি সবচেয়ে শোচনীয়। 

শরিফ ওসমান হাদি লাইমলাইটে আসেন জুলাই আন্দোলনের সময় থেকেই। আওয়ামী লিগের উপর প্রাতিষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর দাবিতে প্রতিবাদ ক্যাম্পেন শুরু করেছিল সে। ভারতপন্থী রাজনীতির চরম বিরোধী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেছিল হাদি। BNP-কেও ছাড়েননি তিনি। পুরনো পন্থার রাজনীতি বাংলাদেশে ফেরত আনার চেষ্টা হলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে বলে মনে করত সে।  

 

POST A COMMENT
Advertisement