বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ। তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশের হয়ে আর খেলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সে দেশের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৮ সেপ্টেম্বর। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম না করে সাকিব পোস্ট করেছিলেন, 'যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন তার জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হল না। বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না। ফিরব হয়তো কোনও গিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ।' এখানেই শেষ হয়, শেখ হাসিনার ছবিও পোস্ট করে তাঁকে শুভ জন্মদিন জানান সাকিব। এরপর থেকেই সাকিব ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়। কার্যত নিদান দিয়ে তিনি বলেন, দেশের হয়ে আর খেলতে পারবেন না শাকিব। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের জার্সির পরিচয় বহন করতে দেওয়া, এটা আমার পক্ষে কোনওভাবেই সম্ভব না। ইতিপূর্বে এটা আমি বিসিবিকে না বললেও এখন আমার বোর্ডের প্রতি স্পষ্ট নির্দেশ থাকবে, সাকিব আল হাসান আর কখনও বাংলাদেশ টিমে খেলতে পারবেন না।’
তবে এ ভাবে যে বাংলাদেশি বাঁ হাতি অলরাউন্ডারের কেরিয়ার শেষ হবে তা ভাবতেই পারেনি ফ্যানেরা। কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘যতবার তিনি (সাকিব) দেশের জন্য খেলতে চেয়েছেন, বলেছেন তাঁকে জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। তিনি শুধু নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। বলেছেন, এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছেন। কিন্তু সত্যিটা হল, তিনি আসলে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত, যার প্রমাণ আমরা পেলাম।’
গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সময়টায় সাকিব ছিলেন দেশের বাইরে। এরপর আর দেশে ফিরতে পারেননি নৌকা প্রতীকে ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন সাকিব। আরও অনেকের মতো সাকিবের নামেও হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগ আছে।