মাত্র একদিনের মধ্যেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে বাংলাদেশী অভিনেত্রী পরীমণি ও তাঁর স্বামী শরিফুল রাজ। একদিকে ধুম জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি পরীমণি অপরদিকে রক্তারক্তি ঘটনা ঘটে গিয়েছে শরিফুল রাজের সঙ্গেও। তিনিও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা ক্রমেই বাড়ছে।
গত চারমাস ধরে আলাদাই থাকছিলেন পরীমণি ও রাজ। কিন্তু আচমকাই বৃহস্পতিবার তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে তবে কি তাঁদের মধ্যেকার দুরত্ব এবার ঘুচল। বাংলাদেশের এক প্রযোজকের অফিসেই রাজ ও পরীমণিকে একসঙ্গে দেখা যায়। সেখানে তাঁরা দু’জনে আবার ছেলে রাজ্যর জন্মদিন উপলক্ষে কেকও কাটেন। যদিও তার আগেই ঢাকার এক বিলাসবহুল হোটেলে ধুমধাম করে ছেলের জন্মদিন পালন করেছিলেন পরী। সেখানে দেখা যায়নি রাজকে। কিন্তু এরপরই পরীমণিকে হাসপাতালের বেডে দেখা গিয়েছে। যদিও তাঁদের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর যে পরী ও রাজের মধ্যে কিছুই নাকি ঠিক হয়নি। অন্যদিকে, রাজের এমন অবস্থা হল কী করে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রাজ৷ তবে এখন তিনি আর হাসপাতালে নেই৷ তবে কীভাবে চোট পেলেন, তা জানা যায়নি ৷ যদিও তাঁদের দুজনের একই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে বেশ কিছু বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দাবী করছে যে প্রযোজকের অফিসেই তাঁদের মধ্যে নাকি হাতাহাতি হয়েছে। সেখানেই নিজের হাত কাটেন পরী। যদিও পরীমণির কাছে রাজের খবর জানতে চাওয়া হলে সংবাদমাধ্যমকে নায়িকা বলেন, 'রাজ কোথায় আছে, আমি জানি না৷ আমি জ্বরে কাবু হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, কথা বলার অবস্থায় নেই৷' রাজ ও পরীমণির এহেন অবস্থা প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ছে ধোঁয়াশা।
শরিফুল ও পরীর মধ্যে আদৌও কিছু ঠিক হয়েছে কিনা তা নিয়ে বাড়ছে রহস্য। অপরদিকে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর নায়িকাকে নাকি ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ওই একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল রাজকে। তাঁর মাথায় নাকি চারটি সেলাই পড়েছে। সূত্রের খবর, নায়ককেও নাকি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে নায়ক বা নায়িকার পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।