Sheikh Hasina: 'আমি যদি বেঁচে থাকি...', বাংলাদেশে হামলার মধ্যে গর্জে উঠলেন হাসিনা

বাংলাদেশে অশান্তির আবহে আওয়ামী লিগের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণে গর্জে উঠলেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে নিশানা করে সরব হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, তাঁকে এবং তাঁর বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন ইউনূস। হাসিনা বলেছেন যে, বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা আসলে তাঁকে হত্যার জন্য। 

Advertisement
'আমি যদি বেঁচে থাকি...', বাংলাদেশে হামলার মধ্যে গর্জে উঠলেন হাসিনা বাংলাদেশে হামলায় সরব হাসিনা।
হাইলাইটস
  • কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণে গর্জে উঠলেন শেখ হাসিনা।
  • মহম্মদ ইউনূসকে নিশানা করে সরব হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
  • হাসিনা বলেছেন যে, বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা আসলে তাঁকে হত্যার জন্য। 

বাংলাদেশে অশান্তির আবহে আওয়ামী লিগের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণে গর্জে উঠলেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে নিশানা করে সরব হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, তাঁকে এবং তাঁর বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন ইউনূস। হাসিনা বলেছেন যে, বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা আসলে তাঁকে হত্যার জন্য। 

ফেসবুক লাইভে হাসিনা বলেন, 'এসব হামলার পরও যদি আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন, তাহলে অবশ্যই কিছু কাজ করতে হবে। তা না হলে এতবার মৃত্যুকে কীভাবে পরাজিত করতে পারতাম?'


তাঁর বাসভবনে হামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, 'কেন বাড়িতে আগুন দেওয়া হল? আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিচার দাবি করছি। আমি কি আমার দেশের জন্য কিছু করিনি? তাহলে এত অপমান কেন?'

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ফের একাধিক জায়গায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। তারপর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা ‘২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র জনতা’। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা ওই বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে। হাসিনার সরকারের পতনের পরে অগাস্টে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। তারপর থেকে ওই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেখানেই ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা।

গত বছর ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে পতন হয় হাসিনা সরকারের। গত ৫ অগাস্ট তড়িঘড়ি করে দেশ ছাড়েন হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। সেই থেকে ভারতেই রয়েছেন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সম্প্রতি ইউনূস সরকার জানায় যে, হাসিনা এবং আরও ৯৬ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তার পর পরই ভারতে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement